নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলায় মাত্র ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী সখিনা খাতুন (২৫) হত্যা মামলার ১৪ বছর পর স্বামী বাবুলকে (৩৫) ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। সঙ্গে আরও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
মঙ্গলবার (১২জুন) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক জুয়েল রানা এ রায় দেন। রায়ের সময় আসামী পলাতক ছিল।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী বাবুল ফরিদপুরের মধুখালীর গোন্দারদিয়ার আব্দুল বাতেন ভূইয়ার ছেলে। তারা রূপগঞ্জ উপজেলার নওয়াপাড়া এলাকায় ভাড়াটিয়া বাসায় বসবাস করতেন।
নিহত সখিনা খাতুন ফরিদপুরের মধুখালীর গোন্দারদিয়ার তমিজ উদ্দিনের মেয়ে। তারা স্ব-পরিবার রূপগঞ্জ উপজেলার নওয়াপাড়া এলাকায় ভাড়াটিয়া বাসায় বসবাস করতো।
নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট রকিব উদ্দিন জানান, ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী সখিনাকে হত্যার দায়ে স্বামী বাবুলের ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত। এছাড়া এক লাখ টাকা আসামীপক্ষের কাছ থেকে আদায় করে বাদীপক্ষকে দোয়ার জন্য বলা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ২০০৪ সালের ১৫ মে রাত ৯টায় ৫০ হাজার টাকা জন্য স্বামী বাবুলের বসত ঘরে অমানবিকভাবে নির্যাতন করে গুরুতর আহত করে। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে ৫ দিন পর ২০ মে সকালে চিকিৎসারত অবস্থায় সখিনার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত সখিনার বাবা তমিজ উদ্দিন বাদী হয়ে ২০০৪ সালের ২১ মে বাবুলকে প্রধান আসামী করে ৬ জনকে আসামী করে রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। আর এ মামলায় শুধু বাবুলকে অভিযুক্ত করে মামলার তদন্তকারী অফিসার আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। মামলায় ১৪ জনের মধ্যে ৭ জনকে স্বাক্ষী দেখিয়ে মঙ্গলবার আদালত এ রায় দেন।