ধর্ষণের পর খুন করা হয় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের তৃতীয় শ্রেণির স্কুলছাত্রী রোকসানা আক্তার আফসানাকে। রবিবার দিবাগত রাতে বন্দরের নবীগঞ্জ এলাকা থেকে হত্যা মামলার আসামি রায়হান কবির সোহাগকে গ্রেপ্তারের পর সে পুলিশের কাছে দোষ স্বীকার করে। আসামি রায়হান বন্দর থানার নবীগঞ্জ এলাকার কবির হোসেন মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া। সে নীট কনসার্ন গার্মেন্টসে কাজ করতো। নিহত রোকসানা রায়হানের দ্বিতীয় স্ত্রী পাখীর বান্ধবী আর্মিয়ার ছোট বোন। নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরফুদ্দীন জানান, গ্রেপ্তার আসামি পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা স্বীকার করেছে। আসামি জানিয়েছে তার প্রথম স্ত্রী তামান্না সন্তানসহ কুমিল্লায় থাকেন এবং দ্বিতীয় স্ত্রী পাখী বন্দরে থাকলেও তার সঙ্গে ঝগড়া হওয়ায় ২১ জানুয়ারি পাখী বাড়ি ছেড়ে চলে যায়।
২২ জানুয়ারি স্ত্রী পাখীর পরিচিত রোকসানাকে নিয়ে সারাদিন ঘোরাফেরা করিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দেয় রায়হান। ২৩ জানুয়ারি আবারো তাকে ঘোরার কথা বলে বাড়ি থেকে তার ভাড়াবাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তাকে ধর্ষণের পর গলায় পা দিয়ে মেঝের সঙ্গে চেপে ধরে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
মৃত্যু নিশ্চিত হলে শিশুটির হাত-পা বেঁধে ও মুখে কচটেপ দিয়ে লাশ বস্তায় ভরিয়ে অটোরিকশায় করে সোনারগাঁও কাইকারটেক ব্রিজের নিচে ফেলে চলে যায়।
২৬ জানুয়ারি হাত পা বাঁধা বস্তাবন্দী অবস্থায় শিশুটির লাশ সোনারগাঁও উপজেলার কাইকারটেক এলাকা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। রোকসানা সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। সে সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল আরামবাগ এলাকার বাসিন্দা আশরাফুল ইসলামের মেয়ে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, মরদেহ উদ্ধারের পর ২৭ জানুয়ারি মেয়েটির বাবা আশরাফুল ইসলাম একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার পর সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি (অপারেশন) নজরুল ইসলাম, উপ-পরিদর্শক মামুন উল আবেদ ও রাসেল আহমেদকে দিয়ে একটি কমিটি করে দেয়া হয়। কমিটি তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।