নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: সোনারগাঁয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রামবাসীর গনপিটুনিতে ডাকাত সর্দারসহ ডাকাত দলের ৪ সদস্য নিহতের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার রাতে সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) মো. মামুন খাঁন বাদি হয়ে গতকাল রাতে মামলাটি দায়ের করেছেন। এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় ওই এলাকায় অজ্ঞাত অসংখ্য মানুষকে আসামী করা হয়। এদিকে গণপিটনীতে নিহত ডাকাতদের ময়না তদন্ত শেষে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সোনারগাঁ থানার ওসি এসএম কামরুজ্জামান পিপিএম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।
জানা যায়, উপজেলার কাঁচপুর ও সাদিপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের গত তিনদিন ধরে ডাকাতি সংঘটিত হয়ে আসছিল। গত শুক্রবার রাতে সাদিপুর ইউনিয়নের কাজহরদী কুন্দেরপাড়া গ্রামে বাড়ির মালিক ইসলাম মুন্সিকে কুপিয়ে দুই বাড়িতে ডাকাতি করে নগদ টাকা ও স্বর্ণলংকার লুট করে নিয়ে যায়। শনিবার রাতেও কাজহরদী এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। পরে এলাকাবাসী মাইকে ঘোষনা দিলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। গত রোববার রাতে ইউনিয়নের বাঘরী গ্রামের বিলে একটি টিলার মধ্যে ১০-১২ জনের একটি ডাকাত দল পার্শ্ববর্তী কাজহরদী গ্রামের বানিয়া বাড়িতে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এসময় স্থানীয় কয়েকজন তাদের দেখতে পেয়ে প্রথমে কাজহরদী গ্রামের মসজিদে মাইকে ডাকাতদের প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়। কাজহরদী গ্রামের মাইকে ঘোষনার পর আশপাশের ৫-৭টি গ্রামের মসজিদের মাইকে ডাকাত পড়েছে বলে ঘোষনা দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে গ্রামবাসী একত্রে হয়ে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ডাকাতদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। এসময় ডাকাত দলের সদস্যরা পালানোর চেষ্টা করলে তাদের ধাওয়া দিয়ে ধরে গণপিটুনি দেয়। গণপিটুনিতে এসময় ডাকাত সর্দার জাকির হোসেন তার সহযোগী নবী হোসেন ও আব্দুর রহিম ও অজ্ঞাত আরো এক ডাকাত নিহত হয়। এসময় মোহাম্মদ আলী নামের আরো এক ডাকাত পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সোনারগাঁ থানার ওসি এস এম কামরুজ্জামান পিপিএম বলেন, গণপিটুনিতে ৪ ডাকাত নিহতের ঘটনায় মামলা গ্রহন করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বে সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।