নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: স্বর্ণালংকার তৈরির কারিগর শাহজাহান (৪৮) হত্যায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার রাতে তাঁর বড় বোন রাজিয়া বেগম এ মামলা করেন। এতে একমাত্র আসামি করা হয়েছে শাহজাহানের দ্বিতীয় স্ত্রী রহিমা বেগমকে। তাঁকে আজ শনিবার সকালে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত না থাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে প্রথম স্ত্রী রোজিনা বেগমকে।
শাহজাহান চাঁদপুরের শাহরাস্তির মৃত শহীদ ভান্ডারীর ছেলে। স্বজনরা জানিয়েছেন, সোনারগাঁর কাঁচপুর ইউনিয়নের সোনাপুরের ভাড়া বাসায় দ্বিতীয় স্ত্রী রহিমাকে নিয়ে থাকতেন তিনি। সেখানে নিয়মিত যাতায়াত ছিল প্রথম স্ত্রী রোজিনার। শুক্রবার দুপুরের খাবার খেয়ে তিনি স্বামীর সঙ্গে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। সংবাদ পেয়ে বাসায় এসে ঝগড়া শুরু করেন রহিমা। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়।
রোজিনা ঝগড়া থামাতে ব্যর্থ হয়ে বাড়ির মালিককে ডেকে আনতে যান। ফিরে এসে দেখেন, ঘরে শাহজাহান অচেতন পড়ে আছেন। দ্রুত তাঁকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। রোজিনার অভিযোগ, শাহজাহানের অণ্ডকোষে আঘাত করে হত্যা করেছেন দ্বিতীয় স্ত্রী রহিমা বেগম। এ সময় তাদের দু’জনকেই থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে শাহজাহানের লাশ হস্তান্তর করে পুলিশ। শনিবার বিকেলে লাশ গ্রহণ করেন বোন রাজিয়া বেগম। পরে চাঁদপুরের শাহরাস্তির বাড়িতে রওনা হন স্বজনরা। সেখানেই তাঁকে দাফন করার কথা।
কাঁচপুর লাভলি সিনেমা হলের সামনে একটি স্বর্ণের দোকানে কর্মরত ছিলেন শাহজাহান। চার বছর ধরে পাশের কনফেকশনারিতে কর্মরত আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, শান্ত প্রকৃতির শাহজাহানের সঙ্গে কারও ঝগড়া-বিবাদ ছিল না। কখনও তাঁকে খারাপ মানুষ মনে হয়নি।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ বলেন, এ হত্যায় বোন মামলা করেছেন। সেটি নথিভুক্ত করার পর একমাত্র আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। লাশও ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার বিকেলে পরিবারকে বুঝিয়ে দিয়েছেন।