নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম:
বর্জ্য অপসারণে আবারো সময় প্রার্থনা করেছে চৈতি কম্পোজিট। এবার সময় চেয়েছে পৌরসভার কাছ থেকে। যদিও চৈতি কম্পোজিট সময় চেয়ে কথা না রাখার কাজটি খুব ভাল ভাবেই জানেন। তবে, এবার তিন মাস বা ছয় মাস নয়, এবার সময় চেয়েছেন তিন বছরের। তবে, প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তাদের দেয়া আর,আর আর প্রকল্পে সরকার অনুমতি দিয়েছে। সোমবার পৌরসভা ও প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা নিউজ সোনারগাঁ২৪কে এসব তথ্য জানান।
পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মোশারফ হোসেন জানান, চৈতি কম্পোজিটের সাথে পৌরসভা তার বাড়ির নিচ দিয়ে চৈতির বর্জ্য অপসারণের যে লাইন গিয়েছে সেই লাইনটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার বিকালে সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা ত্রিবরদী এলাকার চৈতী কমম্পোজিটের বিষাক্ত বর্জ্যরে বিষয় সরেজমিনে পরিদর্শনে যান এবং অপরিশোধিতভাবে বিষাক্ত বর্জ্য অপসারণের সত্যতা পেয়ে চৈতী থেকে নির্গত বর্জ্যের পিটটি বালু সিমেন্ট দিয়ে বন্ধ করে দেন। পিটটি বন্ধ করার ৪ দিন পর সোমবার দুপুরে চৈতী কম্পোজিট কর্তৃপক্ষ ও পৌরসভার কাউন্সিলরদের মধ্যে চৈতী বর্জ্য নিয়ে করণীয় এক বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে চৈতী কম্পোজিট সরকারের কাছ থেকে আর আর আর প্রকল্প চালু করার জন্য ৩ বছরের সময় নিয়েছেন বলে পৌর কর্তৃপক্ষকে অবগত করেন। পৌরসভা চৈতীর সময়কে দীর্ঘ মেয়াদী উল্লেখ করেন এবং ৬ মাসের সময় দেয়ার কথা জানান। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে স্থায়ী কোন সমাধান না আসায় ঈদের পর আবারো এক বৈঠক হবে বলে জানিয়ে বৈঠক শেষ হয়। তিনি আরো জানান, চৈতী কম্পোজিট আমার বাড়ীর নিচ দিয়ে বর্জ্য অপসারণের লাইন নিয়েছে। এছাড়া চৈতীর বর্জ্যের কারণে আমার বাড়ীতে বসবাস করা দুস্কর হয়ে পড়েছে। এখন পৌরসভা বা এমপি যে ৬ মাস সময় দিয়েছে সেটা আমি মানি না। আমি তাদের এক দিনও সময় দিবো না।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল ম্যানেজার মিজানুর রহমান প্রথমে নিউজ সোনারগাঁ২৪’র সাথে কথা বলতে রাজি না হলেও এক পর্যায় বলেন, আমরা সরকারের কাছ থেকে আরআরআর প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছি। সরকার আমাদের অনুমতি দিয়েছেন। তিন বছরের মধ্যে আমরা আমাদের বর্জ্য পরিশোধিত করে নিজেরাই অন্য কাজে ব্যবহার করব।
স্থানীয়রা জানায়, সোনারগাঁও পৌরসভার ত্রিবরদী এলাকায় চৈতী কম্পোজিটের বিষাক্ত বর্জ্য খাল দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পৌরসভা, সনমান্দি, মোগরাপাড়া ও পিরোজপুর ইউনিয়নের কয়েকটি খাল ও নদীতে গিয়ে মিশে খাল-নদীর পানিগুলো বিষাক্ত করে কালো দুগন্ধ হয়ে পড়ে। ফলে সে পানি কৃষি ও দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার অনোপযোগী হয়ে পড়েছে। এ বিষাক্ত বর্জ্যরে কারণে মাছ শুন্য হয়ে পড়েছে খাল পুকুর ও নদীগুলো।