নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: সোনারগাঁয়ে নিখোঁজের ৮দিন পর শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে পৌরসভার বাগ মহিষা ঋষিপাড়া এলাকার একটি ডোবা থেকে নিখোঁজ ফয়সালের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ফয়সাল লাহাপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে সোনারগাঁও পৌর এলাকা থেকে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যাকান্ডে জড়িত অপূর্ব শীলকে গ্রেফতার করা হয়। অপূর্ব শীল বাগ মহিষা ঋষিপাড়া গ্রামের তপন শীলের ছেলে। গ্রেফতারকারীর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ মরদেহ উদ্ধার করে র্যাব সদস্যরা।
র্যাব-১১ সিইও ল্যাফটেন্ট কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন আসামী অপূর্ব। গত ২৬ জানুয়ারি রাত ৯ টার দিকে পাশ্বর্র্বতী লাহাপাড়া গ্রামের মামার বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। খোঁজাখুজির পর পরদিন তার মামা মো. মানিক বাদি হয়ে সোনারগাঁও থানায় সাধারণ ডায়রী করেন। পরবর্তীতে র্যাব-১১ গোয়েন্দা দল নিখোঁজ ফয়সালের সন্ধানে নামেন। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মোবাইল ফেনে ডেকে আনা অপূর্ব শীলকে শনাক্ত করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে র্যাব সদস্যরা সোনারগাঁও পৌর এলাকা থেকে অপূর্বকে গ্রেফতার করে।
তিনি আরো জানান, র্যাবের জিজ্ঞেসাবাদে গ্রেফতারকৃত অপূর্ব নিখোঁজ ফয়সালকে নীল রঙের রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ পার্শ্ববর্তী ডোবায় ফেলে রাখার কথা স্বীকার করে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোর রাত ৪ টার দিকে ডোবায় লাশ সনাক্ত করে।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, পুলিশ নিখোঁজের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।