নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম:
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন সোনারগাঁও পৌরসভা এলাকায় চৈতী কম্পোজিত নির্মান করার পর থেকে এসব এলাকার জনসাধারণের জায়গা জমি জোড়পূর্বক দখল করে প্রতিষ্ঠানটি নির্মান করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি নির্মানের পর থেকে পৌরসভাসহ আশাপাশের কয়েকটি ইউনিয়নের খালবিল ও জলাশয়গুলো তাদের কোম্পানীর বর্জ্য ও বিষাক্ত পানি গিয়ে নষ্ট করে ফেলেছে। তারা স্থানীয় কয়েক রাজনৈতিক ব্যক্তিকে মাসিক মাসোহারা দিয়ে তাদের পক্ষে নিয়ে এসব অপকর্ম করাচ্ছে। কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বললে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। তাদের এসমব অবৈধ কর্মকান্ড থেকে সাধারণ মানুষ ও প্রশাসনের চোখ ফেলাতে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার নামে লোক দেখানো ব্যানার নিয়ে ফটোসেশন করছে।
জানাগেছে, “পরিবেশ বাচলে দেশ বাচবে” এ শ্লোগানকে সামনে রেখে হাতে ব্যানার ও ঝাড়– হাতে লোক দেখানোর রাস্তা পরিষ্কার অভিযান ও র্যালী বের করে চৈতী কম্পোজিটের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। শনিবার সকালে তারা এ র্যালী বের করে। র্যালীটি চৈতী কম্পোজিটের মুল ফটকের সামনে থেকে মহাসড়কের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চৈতী কম্পোজিটের পরিচালক জামাল উদ্দিন আহম্মেদের সার্বিক তত্তাবধায়নে উপ-মহা ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে অন্যান্যদের মধ্যে আর ও উপস্থিত ছিলেন মহা-ব্যবস্থাপক আতাউর রহমান, ফেরদৌস কবীর, হাসান মাহমুদ, ফয়েজ আহম্মেদ, উপ-মহা ব্যবস্থাপক বদরুল ইসলাম, সহকারী মহা-ব্যবস্থাপক মির্জা আরিফ হোসেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা শরীফুন্নাহার সিমা, আরাফাত হোসেন, মনির হোসেন, নুরুল ইসলাম সহ কারখানার বিভিন্ন দপ্তরের শতাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ।
এই অভিযানে নেতৃত্বে দানকারি উপ-মহা ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মিজানুর রহমান বলেন, পরিবেশ সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন থাকলে দেশ বাচবে না হলে কোন নাগরীক সুস্থ্য ভাবে বাচতে পারবে না। তাই প্রতি বছর আমরা এই কর্মসূচীর মাধ্যেমে দেশ ও জাতীর মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করার চেস্টা করি।
এসময় সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেন এ পরিচ্ছন্নতা কি আপনার কোম্পানীর গেইট ছাড়া উপজেলা অন্য কোথাও করার জন্য লোক নিয়োগ করবেন কিনা? এ প্রশ্নের জবাব না দিয়েই তিনি তারাগুড়ো করে চলে যান।