• রাত ১০:২৩ মিনিট বৃহস্পতিবার
  • ২৫শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  • ঋতু : শরৎকাল
  • ১০ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
এই মাত্র পাওয়া খবর :
থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে সনাতন ধর্ম্বালমীদের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ সোনারগাঁয়ে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা দুর্গাপুজা উপলক্ষে মান্নানের উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরন পুজা মন্ডপের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা প্রদান সোনারগাঁয়ে যৌথ বাহিনীর অভিযানে দেশীয় অস্ত্র ও গাঁজাসহ আটক ১ মাহমুদুর রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন চাঁদাবাজদের কড়া হুসেয়ারী দিলেন বিএনপি নেতা আতাউর রহমান রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বর্ষীয়ান আওয়ামীলীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা সুলতান আহমেদ মোল্লা বাদশার বিদাই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পিরোজপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, আহত ৫০  সোনারগাঁয়ে শিক্ষা কর্মকর্তার দূর্ণীতি ও অনিয়মের অভিযোগে সংবর্ধনা বর্জনের ঘোষনা শিক্ষকদের সোনারগাঁয়ে ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার সামাজিক সংগঠন “সোনারগাঁ নাগরিক সমাজ” এর পথচলা শুরু সংস্কারপন্থী ও লুটেরাদের জায়গা সোনারগাঁয়ে হবে না : মান্নান জামিনে মুক্ত হলেন সোনারগাঁ থানা বিএনপি’র যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক রূপগঞ্জ থেকে ছিনতাই হওয়া সুতা ভর্তি কন্টেইনাল সোনারগাঁয়ে উদ্ধার সোনারগাঁয়ে ইউপিতে যারা প্যানেল চেয়ারম্যান হলেন চেয়ারম্যানদের নিরাপত্তা চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন সোনারগাঁয়ে ধর্ষণের অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে আটক সেনা বাহিনীর হাতে থানা বিএনপি যুগ্ন-সম্পাদক আটক ছাত্র সমন্বয়কদের গনিত অলিম্পিয়াড সেজন-১ পুরস্কার বিতরন
সোনারগাঁয়ে বিরল রোগে আক্রান্ত এক পরিবারের পাঁচ সদস্য

সোনারগাঁয়ে বিরল রোগে আক্রান্ত এক পরিবারের পাঁচ সদস্য

Logo


নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকমঃ

সোনারগাঁ উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের পাঁচানী গ্রামে একই পরিবারের পাঁচ সদস্য বিরল এক রোগে আক্রান্ত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহ করতে গিয়ে ভিটে মাটি বিক্রি করে এ পরিবার এখন নিঃস্ব প্রায়।

উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে অবস্থিত পাঁচানী গ্রামে গিয়ে দেখা যায় ওই গ্রামের সত্তর বছর বয়স্ক আব্দুর রশিদ সহ তার তিন ছেলে ও এক নাতি বিরল এক রোগে আক্রান্ত হয়ে অসহনীয় অবস্থায় রয়েছেন। তিনি হাটা চলা করতে পারেন না। প্রায় দুই বছর যাবত তিনি বিছানায় পড়ে আছেন। তাঁর স্ত্রী শাহিদা বেগম(৫৮) জানান, বিয়ের পর হঠাৎ করে আমার স্বামীর দুই পা ফুলে যায়। অনেক ডাক্তার কবিরাজ দেখানোর পরও তিনি আর সুস্থ হননি। তবে এতদিন কষ্ট করে কাজকর্ম ও চলাফেরা করতে পারলেও বছর দুই হলো তিনি একেবারেই হাটতে পারছেন না।

আব্দুর রশিদের তিন ছেলেও একই রোগে আক্রান্ত। বড় ছেলে জজ মিয়া(৪০)। তার বয়স যখন মাত্র আট বছর তখন হঠাৎ করে তার ডান পা ফুলতে শুরু করে। ধীরে ধীরে এটি প্রকট আকার ধারন করে। অপর দুই ছেলে জহিরুল ইসলাম(৩৩) ও তাইজুল ইসলামেরও(২২) এই অবস্থা। তিন ছেলের মধ্যে জজ মিয়া ও জহিরুল কিছুটা হাটা চলা করতে পারলেও ছোট ছেলে তাইজুল এখন তার বাবার মতোই শয্যাশায়ী। তার দুই পা অস্বাভাবিক ফুলে গেছে। এছাড়া তাইজুলের একমাত্র ভাতিজা জজ মিয়ার ছেলে নজরুল ইসলামও(১২) এ রোগে আক্রান্ত। সে সপ্তম শ্রেনিতে পড়াশুনা করে। তার ডান পা ইতি মধ্যে ফুলতে শুরু করেছে।

বিরল রোগে আক্রান্ত আব্দুর রশিদ জানান, তার বাবাও এ রোগে আক্রান্ত ছিলেন তবে তিনি স্বাভাবিক ভাবে হাটাচলা করতে পেরেছেন। কিন্তু তিনি বিগত দুই বছর যাবত হাটতে পারছেন না। একই অবস্থা ছোট ছেলে তাইজুলের সে গত তিন চার মাস ধরে বিছানায় পড়ে আছেন।

আব্দুর রশিদ জানান, প্রাথমিক অবস্থায় ডাক্তাররা এটিকে গোদ রোগ বললেও পরীক্ষা নিরিক্ষা করে গোদ রোগ ধরা পড়েনি। ডাক্তাররা সঠিকভাবে বলতে পারছেন না এটি কি রোগ।

তাইজুল ইসলাম বলেন, সে ২০১৩ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল কিন্তু এ অসুখের কারনে পরীক্ষা দিতে পারেনি। চলতি বছর উন্মূক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এসএসসি প্রোগামে ভর্তি হলেও সে চলাফেরা করতে না পারার কারণে পড়াশুনা বন্ধ হয়ে গেছে। তাইজুলের বিছানার পাশে টেবিলে তার বই পড়ে আছে সেদিকে তাকিয়ে কান্না জড়িত কণ্ঠে তাইজুল জানালো আমার বোধ হয় আর পড়াশুনা হবে না। এ রোগ থেকে কিভাবে মুক্তি পাব? তাইজুল আরো বলেন, আমরা সবাই ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি কিন্তু কোন ডাক্তারই আমাদের রোগ ধরতে পারেনি। তারা বলেছেন দেশের বাইরে গেলে এ রোগের সঠিক চিকিৎসা সম্ভব হতে পারে।

আব্দুর রশিদের স্ত্রী শাহিদা বেগম জানান,পরিবারের নারী সদস্য কারো এ রোগ নেই। তার দুই মেয়ে মিনারা ও হোসনে আরা অন্য দশজনের মতো সুস্থ ও স্বাভাবিক তবে পরিবারের সকল পুরুষ সদস্যই এ রোগে আক্রান্ত। প্রতি মাসে একবার করে আক্রান্ত প্রত্যেকের প্রচন্ড জ্বর ও পায়ে ব্যাথা হয়। অস্বাভাবিক পা নিয়ে কেউই কাজ কর্ম করতে পারেন না। তাই সংসার চালাতে এখন হিমশিম খেতে হচ্ছে শাহিদাকে। কারো কাছ থেকে কোন সাহায্য সহযোগিতা পাচ্ছেন না। প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার আশায় কাগজ পত্র জমা দিয়েও কোন লাভ হয়নি। বিরল রোগে আক্রান্ত এ পরিবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ রোগের চিকিৎসার জন্য সাহায্যের আকুল আবেদন জানিয়েছেন।


Logo