যৌন সন্তুষ্টির জন্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ কী না করেন। কিন্তু ধোকাবাজ লোকজনের সঙ্গে সেক্স করা যেমন সমস্যার, তেমন বিপজ্জনক।
রূপান্তরকামী পুরুষের সঙ্গে সেক্স করে প্রতারিত হলেন দুই মহিলা। বিছানায় অন্ধকারের মধ্যে পেনিস না থাকা সত্ত্বেও অভিযুক্ত ব্যক্তি তাঁদের যৌনাঙ্গে কিছু একটা ঢুকিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৩ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে দুই মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল অভিযুক্ত কার্লোস ডেলাক্রুজ। বেশ কয়েকবার তাদের সঙ্গে সঙ্গমেও লিপ্ত হয়েছিল সে। কার্লোসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পার্টনারদের অন্ধকারে রেখে সেক্সের সময় সে কৃত্রিম পেনিস ব্যবহার করেছিল। তার এই কাণ্ডে পার্টনাররা তীব্র ব্যথা পায়। এমনকী তাঁদের যৌনাঙ্গে ক্ষত সৃষ্টি হয়।
প্রতারণার অভিযোগে কার্লোস ডেলাক্রুজকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। তাকে জেলে পাঠানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, কার্লোস মেয়ে হিসেবে জন্মেছিল। কিন্তু ৮ বছর বয়স থেকে তার মধ্যে পুরুষদের শারীরিক লক্ষণ দেখা দেয়। যে কারণে ১৬ বছর বয়সে সে তার নাম পরিবর্তন করে। সে নিজেকে পুরুষ পরিচয় দেওয়া শুরু করে।
জানা গিয়েছে, অভিযোগকারী দুই মহিলা কার্লোসের রূপান্তরকামী পরিচয় জানতেন। এর পরেও তাঁরা যৌন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। অন্তত এমনই দাবি কার্লোসে আইনজীবীর।