• সকাল ৭:১৬ মিনিট রবিবার
  • ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  • ঋতু : শরৎকাল
  • ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
এই মাত্র পাওয়া খবর :
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজিং কমিটি: যোগ্যতা নাকি রাজনৈতিক প্রভাব সোনারগাঁয়ে শাওন হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন সোনারগাঁয়ে নতুন ইউএনও ফারজানা রহমান সুজনের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রশাসনকে কঠোর হুশিয়ারি তুহিন মাহমুদের সোনারগাঁয়ে দূর্নীতিবাজ অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধ সোনারগাঁ উপজেলা যুবদলের দোয়া মাহফিল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে সোনারগাঁ থানা বিএনপির খাদ্যসামগ্রী বিতরণ শিক্ষককে লাঞ্চিত করে পদত্যাগে বাঁধ্য করায় সোনারগাঁয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ সোনারগাঁয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর গণ-সমাবেশ সোনারগাঁয়ে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘরের অধিকাংশ সরঞ্জাম চুরি বিএনপি’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে পৌর বিএনপি’র দোয়া বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে সোনারগাঁয়ে ছাত্রদলের শো-ডাউন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১৪ কিলোমিটার যানজট, তীব্র ভোগান্তী সোনারগাঁয়ে মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয় দখল করে বিএনপির দলীয় অফিস সোনারগাঁ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকের উপর বহিরাগতদের হামলা সোনারগাঁয়ে যুবককে কুপিয়ে হত্যা নিরপরাধ কোন ব্যক্তিকে যেন মামলায় জড়ানো না হয়. ড. ইকবাল হোসেন সোনারগাঁও পৌরসভা মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়ে হামলা ভাংচুর সোনারগাঁয়ে ভাইয়ে ভাইয়ে ঝগড়া প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
অনেকটা নিরবেই চলে যায় বর্ষিয়ান নেতার মৃত্যু বার্ষিকী

অনেকটা নিরবেই চলে যায় বর্ষিয়ান নেতার মৃত্যু বার্ষিকী

Logo


নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সোনারগাঁ উপজেলার এক প্রভাবশালী ও বর্ষিয়ান নেতা ছিলেন। তিনি তিনবার মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও দুইবার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ছিলেন। তার ছোট ভাই মোবারক হোসেন দুইবার ও তার ভাতিজা কায়সার হাসনাত একবার সোনারগাঁয়ের এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এছাড়া পারিবারির ভাবেও ছিলেন উপজেলার মধ্যে উপজেলা দুই একটি পরিবারের মতো প্রভাবশালী। সেই পরিবারের সন্তান মোশারফ হোসেন বার্ধক্যজনিত কারণে দুই বছর আগে ২২ শে জুলাই রাজধানীর একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। প্রভাবশালী এ নেতার মৃত্যু বার্ষিকী অনেকটাই চলে যায় নিরবে। গত বছর প্রথম মৃত্যু বার্ষিকীতে মোগরাপাড়া বাজারে ছোট পরিসরে মিলাদ মাহফিল করেই শেষ হয় মৃত্যৃ বার্ষিকীর অনুষ্ঠানিকতা। এবার সেই আগের মতোই অনেকাটা নিরবে চলে গেছে। তবে তার ভাতিজা মোবারক হোসেনের ছেলে ইফরান হোসেন দীপ গতকাল শুক্রবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কবর জিয়ারতের সময় তার চাচা ও পরিবারের জন্য দোয়া করেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মোগরাপাড়া ইউনিয়নের এক প্রবীন নেতা জানান, মোশারফ হোসেন চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে মৃতুর আগ পর্যন্ত দেখেছি কতো এই নেতা সেই নেতা পেতি নেতা পিছনে পিছনে ঘুরতেন তাদের যন্ত্রনায় আমরা কাছে যেতে পারতাম না। তার নাম বিক্রি করে তার পরিবার থেকে শুরু করে কতো নেতা ধান্ধাবাজি করে কোটিপতি বনে গেছে। শুনছি পরিবারোর জন্য রেখে গেছেন হাজার কোটি টাকার সম্পদ। অথচ যে নেতার নামে কাঁপতে কয়েকটি এলাকা সেই নেতার মৃত্যুর দুই বছর না হতেই সবাই ভুলে গেলো। এটা কি সম্ভব?

আরেক নেতা জানান, তার মৃত্যুর আগ পযর্ন্ত তার আশপাশে কতো নেতা দেখেছি। বিশেষ করে তার পরিবারের কিছু সুবিধাবাধী নেতা তার চামচামি করে মোশরাফ ভাইয়ের ওমুক আমি তুমুক আমি এ বলে বিচার আচার করে প্রশাসনের কাছ থেকে অনেক সুবিধা নিয়েছে। সেই পরিবারের নেতারাও তাতে ভুলে গেছে।

প্রয়াত নেতা মোশারফ হোসেনের এক জন ঘনিষ্ট নেতা জানান, যৌবন কাল থেকে মোশারফ ভাইয়ের ছায়ায় ছিলাম। তখন দেখেছি ওনার কি ক্ষমতা তার ভয়ে বাঘে মহিষে এ ঘাটে পানি খেতো না এমন অবস্থা। সে সময় ভাবতাম মোশারফ ভাই যেই প্রভাবশালী নেতা তার পেছনে যে হাজার হাজার লোক ঘুড়ে তিনি মারা গেলে এ সমস্ত লোকেরা বঙ্গবন্ধু কিংবা জিয়ার মতো করে পুরো উপজেলায় তার মৃত্যু বার্সিকী পালন করবে কিন্তু মৃত্যৃর পর দেখলাম তার উল্টো চিত্র। মৃত্যু বার্ষিকী তো দুরের কথা তাকে কেউ মনেও রাখেনি। দীর্ঘ নি:স্বাস ছেড়ে তিনি বলেন এটাই বাস্তবতা। আল্লাহ মোশারফ ভাইকে বেহেস্ত নসিব করুক।


Logo