নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: সোনারগাঁ উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আগামী রবিবার। ইউপি নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহন না করায় রবিবারের নির্বাচনে প্রার্থীদের ট্রাম্পকার্ড বিএনপি। বিএনপির সমর্থকদের ভোট যে দিকে যাবে সেই প্রার্থীই ভোটের মাঠে এগিয়ে থাককে। এতে ওই প্রার্থীর জয়ের সম্ভবনাও অনেক বেশী।
জানা গেছে, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর স্থানীয় কোন নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেনি বিএনপি। স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে অংশ গ্রহন না করলেও সমর্থন নিয়ে অনেকে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেছেন। বিশেষ করে ইউপি নির্বাচনে সাধারণ সদস্য পদে তাদের সংখ্যা বেশী।
সুত্র জানায় নির্বাচনে বিএনপি সরাসরি অংশ গ্রহন না করলে প্রতিটি নির্বাচনে ভোট প্রদানে অংশ গ্রহন করেন।বিশেষ করে ইউপি নির্বাচনে সাধারণ সদস্য (মেম্বার) পদে প্রার্থী ও পছন্দের লোক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় তারা পরিবার পরিজন নিয়ে ভোট প্রদান করেন। তবে এবার সারা দেশের ন্যায় সোনারগাঁয়ে বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী না থাকায় তারা তাদের পছন্দের প্রার্থী অথাৎ নৌকা প্রতিকসহ অন্য প্রতীকে ভোট প্রদান করেন। তবে বিএনপির সমর্থকরা নৌকা প্রতীকে ভোট প্রদান করেন না এটা স্বাভাবিক।অনেকে আবার লিয়াজো ম্যান্টেন করতে গিয়ে নৌকা প্রতিকের নির্বাচন করলেও নৌকা প্রতিকে ভোট প্রদান করেন কিনা সে ব্যাপারে যতেষ্ট সন্দেহ পোষন করেন নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা।
নৌকা প্রতীকের সমর্থকের সমর্থকরা জানান, বিএনপি নির্বাচনে অংশ গ্রহন না করায় নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সমস্যা বেশী হচ্ছে। বিএনপি সরাসরি নির্বাচনে অংশ গ্রহন না করায় তারা স্বর্ত:পুর্তভাবে নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন। এছাড়া তারা সরাসরি চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সাথে নির্বাচনী প্রচারনায় অংশ গ্রহন না করলেও তারা মেম্বার প্রার্থীদের নির্বাচন করছেন। মেম্বার প্রার্থীদের নির্বাচন করায় তারা মেম্বারদের ভোটের জন্য ভোটাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ান এবং ভোট প্রদান করেন। তখন তারা মেম্বারদের সাথে চেযারম্যান প্রার্থীদের ভোট প্রদান করেন। সে ক্ষেত্রে তারা চির প্রতিদ্বন্দ্বি নৌকা প্রতীকে ভোট প্রদান না করে স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা অন্য দলের প্রতীকে ভোট প্রদান করেন। এতে নৌকার প্রার্থীরা পড়েন ভোট বিপদে। কারণ ইউপি নির্বাচনে শতকরা ৬০-৭০% ভোট প্রদান করেন ভোটাররা। সেখানে আওয়ামীলীগের ২৫% লোক ভোট প্রদান করলে বিএনপি কম হলেও ২০% ভোটার ভোট প্রদান করেন। এছাড়া বাকি অন্যান্য দল ও সাধারন মানুষ ভোট প্রদান করেন। ভোটের জরিপে দেখা যায় আওয়ামীলীগ ২৫% ভোট তার সমর্থিত প্রার্থীকে প্রদান করলে আরো সাধারন ৫% সাধারণ ভোটাররা ভোট প্রদান করেন। বাকি ভোট পান স্বতন্ত্র প্রার্থী ও অন্যান্য প্রার্থীরা সে হিসেবে দেখা যায় স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা জাতীয়পার্টির প্রার্থী জয়ের সম্ভবনা অনেক বেশী হয়ে যায়। যদি দলোর বিদ্রোহী হয় সেক্ষেত্রে আওয়ামীলীগের ভোট বিভক্ত হয়ে দুই দিকে পড়ে। তবে যদি নৌকার প্রার্থী বিএনপি নেতাদের ম্যানেজ করতে পারেন তাহলে সে ক্ষেত্রে নৌকার জয় অনেক সহজ। সেজন্য ইউপি নির্বাচনে প্রার্থীদের ট্রাম্পকার্ড হচ্ছে বিএনপি।