নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: আতিকুর রিয়াদ ছাত্র জীবনে বঙ্গবন্ধুর আর্দশে অনুপ্রেনীত হয়ে পা দিয়েছিলেন আওয়ামী ছাত্রলীগে। স্কুল জীবন থেকেই তিনি আওয়ামীলীগের বিভিন্ন সভা-সমাবেশে যোগদান করতেন। সেই থেকেই ছাত্র রাজনীতিতে ঝুকে বসেন। শুরু করেন ছাত্রলীগের রাজনীতি। একজন মেধাবী ছাত্র হলেও লেখাপড়ার পাশাপাশি দলীয় সকল কর্মকান্ডে তিনি নিজেকে জড়িয়ে রাখেন।তৃনমুল থেকে তিলে তিলে নিজেকে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর একজন আর্দশের সৈনিক হিসেবে। কিন্তু বর্তমান আদু ভাইদের রাজনীতির যুগে কোথাও জায়গা হয়নি মেধারী ছাত্র আতিকুর রিয়াদের। তার সাথে অনেকেই রাজনীতি না করেও পদ পদবী নিয়ে নিজেকে বড় রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচয় দেয় রাজনৈতিক মাঠে। কিন্তু আতিকুর রিয়াদ কাউকে তৈল মারতে পারেনি, পারেনি বিশাল অংকের লেনদেন করতে তাই তিনি এখনও ছাত্রলীগের কর্মী হিসবে রয়ে গিয়ে অবশেষে রাজনীতির মাঠ ছেড়ে চলে গেলেন বাস্তব জীবনে সাংসারিক জীবনে। যেখানে নেই পদপদবীর বেচাকেনা, নেই তৈল মারার কোন ক্ষেত্র নেই বড় ভাইয়ের আদেশ নিষেধ মানার কোন বিধান। রাজনীতি মাঠ থেকে বিদায় নিয়ে আতিকুর রিয়াদ তার ফেসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন যা নিউজ সোনারগাঁকে পাঠিয়েছিলেন। সেই স্ট্যাটাসটি হবহু দেয়া হলো
একজন পরাজিত ছাত্রলীগ কর্মীর গল্প…..
আতিকুর রিয়াদ সোনারগাঁয়ের সম্ভুপুরা ইউনিয়নের অতি সাধারণ পরিবারের মেধাবী ছাত্র।
সোনারগাঁও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ মাঠ পর্যায়ের একজন কর্মী,এমন কোন নেতা বা কর্মী নেই যে আতিকুর রিয়াদ কে চিনে না,অথচ তার নামের পাশে কর্মী ছাড়া অন্য কোন পরিচয় নেই, নেই বর্তমান বানিজ্যিক রাজনীতির কোন ছোঁয়া। ১২-১৩ বছরের ছাত্র রাজনীতি থেকে আজ বিদায় জানালেন। “
তাকে বললাম বিয়ের ছবি ফেইসবুকে ছাড়ার দরকার নাই ঐভাবে,দেখেন যদি সামনে কমিটি হয় একটা পদ নিয়ে ছাত্রলীগ কে বিদায় জানাতে পারেন কিনা,
তার উত্তর – তাহলে মুজিব আদর্শের ছাত্রলীগ রইলাম কই,ছাত্রত্ব না থাকলে বিয়ে করে ছাত্রলীগের পদে থাকলে তা সংগঠনের নিয়ম নীতি এবং নৈতিকতা পরিপন্থী এবং আমি বিবাহিত হয়ে ছাত্রলীগ করলে নতুন রা সুযোগ পাবে কি করে,আর আদর্শের জায়গা টাও থাকে না,কষ্ট হচ্ছে তাও বিদায় নিতে চাই।”
কি পেলেন?
কি দিলেন?
কোন বড় ভাই,নেতা কেউ উত্তর দিতে পারবেন?
একটা ছেলের সোনালী সময় টা দিলো এই ছাত্র রাজনীতির পিছনে- এই নেতা,ঐ নেতা,ঐ ভাই, দিন শেষে কেউ নাই।
১২-১৩ বছরের রাজনীতি অথচ পদ নাই একটাও। গ্রুপিং, দীর্ঘ দিন কমিটি না হওয়া এবং নেতৃত্বের বদল না হওয়া অন্যতম কারন। তার পরেও সে ছাত্রলীগ কে ভালোবাসে,আমরাও ভালোবাসি।
শুভ কামনা
নতুন জীবনের জন্য।