নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: ঈদুল আযহার মাত্র দুদিন বাকি। ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন হাট-হাটের ইজারাদার, গরু ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা। আল্লাহর নামে পশু কোরবানী দেয়ার মাধ্যম্যে মুসলমানরা আল্লাহ সন্তুুষ্টি লাভ করেন। সেজন্য সামর্থ্যবান ব্যক্তিরা গরু অথবা ছাগল কোরবানী করে থাকেন। এদিকে ঈদকে সামনে রেখে গরুর বাজার চড়া হয়ে উঠেছে। অন্য বছরের তুলনায় এবার গরুর দাম অনেক বেশী বলে ক্রেতারা জানিয়েছেন। অপরদিকে, ব্যবসায়ীরা জানান, একটি গরু লালন পালনে তাদের অনেক টাকা ব্যয় হয় সেজন্য অন্য বছরের তুলনায় গরুর দামটা একটু বেশী।
ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে এবার সোনারগাঁয়ে ২ স্থায়ী ও ১৫ টি অস্থায়ী হাটের অনুমতি দিয়েছে জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যে বিভিন্ন হাটে গরুর বেচাকেনা শুরু করেছেন গরু ব্যবসায়ীরা। এছাড়া অনেকে এবার করোনা ভাইরাসের কারণে হাটে না গিয়ে খামার ও কৃষকের বাড়ি থেকে গরু কেনায় মনোযোগী হয়েছেন। সেজন্য এক ফার্ম থেকে অন্য ফার্মে ঘুড়ে বেড়াচ্ছেন। পরিবার পরিজন ও বন্ধু বান্ধব নিয়ে তাদের পছন্দের গরু দরদাম করছেন। অনেকে আবার না পাবার আশায় আগে থেকেই কিনে রেখেছেন। অপরদিকে, ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে হাটগুলোতে ভীড় করছে ক্রেতারা। এবার গরুর সংখ্যা অন্যবারের চেয়ে বেশী আসলেও দাম অনেক চড়া। গরু ব্যবসায়ীরা গরুর দাম চেয়ে আর ক্রেতার তাকান না বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা। ক্রেতারা জানান, যে গরুর দাম অন্য বছর ৭০/৮০ হাজার টাকা এবার সে গরুর দাম ১ লাখ ২০ হাজার টাকা চাচ্ছেন। এরপর আর গরুর মালিকরা কথা বলেন না। অনেকে আবার বাধ্য হয়েই চড়া দামে গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
গরু খামারীরা জানান, অন্য বছরের তুলনায় এবার গো খাদ্যের দাম বেশী হওয়ায় গরুর দাম অন্য বছরের তুলনায় অনেক বেশী। সেজন্য তারা বাধ্য হয়েই বেশী দামে গরু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।