নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: বানিজ্য মন্ত্রনালয় থেকে আলু ও পিয়াজের দাম বেঁধে দেয়ার পরও কোনমতে কমছে না সোর্নাগাঁয়ের বাজার গুলোতে আলু ও পিয়াজের দাম। তবে আলু ও পিয়াজের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অন্যান্য শাকসবজীর দামও। ক্রেতারা জানান দেশের বিভিন্ন এলাকার বাজারগুলোতে প্রশাসনের নজরদারী থাকলেও সোনারগাঁয়ে তার ব্যতিক্রম। এখানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন নজরদারী না থাকার কারণে বাজারে আড়ৎদার ও দোকানদার বেশী দামে আলু ও পিয়াজ বিক্রি করছে। এতে ভোগান্তীতে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষগুলো। সে জন্য তারা বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের নিয়মিত মনিটরিং চান। যাতে সরকারে বেঁধে দেয়া দামের মধ্যে নিত্য প্রয়োজণীয় জিনিসপত্র ক্রয় করতে পারেন।
সুত্র জানান, গত মাসের প্রথম দিকে হঠাৎ করে অস্থিতিশীল হয়ে উঠে আলু পিয়াজ ও অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম। বিশেষ করে আলু দাম কেজিতে দ্বিগুন হয়ে যায়। যেখানে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হতো ২০-২৫ টাকায় সেখানে আলুর দাম এক লাফে হয়ে যায় ৫০ টাকা। পিয়াজের দাম ছিল ৪৫ টাকা সেটা লাফিয়ে উঠে ৮৫-৯০ টাকায়। এছাড়া আদা ও রসুুনের দামও বেড়ে যায়। বাজার স্থিতিশীল করতে আলুর দাম ৩৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। সরকার দাম নির্ধারন করে দেয়ার পর দেশের অন্যান্য এলাকায় মানলে মানেনি সোনারগাঁয়ের আলু ব্যবসায়ীরা। সে সময় তারা ৩৮-৪০ টাকা মুল্যে আলু বিক্রি করেছে বর্তমানেও তা অব্যাহত রয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে ব্যবসায়ীরা আলু বিক্রি করছেন ৪২ টাকায়, পিয়াজ ৮০ টাকায়, আদা বিদেশীটা ২৫০ টাকায়, রসুন ১৬০ টাকায়। এছাড়াও অন্যান্য দ্রব্যমুল্যের দামও আগের মতো অস্থিতিশীল রয়েছে।
দোকানীরা জানান, পাইকারদের কাছ থেকে বেশী দামের আলু কিনতে হয় সেজন্য বেশী দামে বিক্রি করতে হয়। এতে আমাদের কিছু করার নাই।
ক্রেতারা অভিযোগ করেন, প্রশাসনের নজরদারী না থাকায় ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছামতো জিনিস পত্রের দাম রাখছেন। প্রশাসন যদি নিয়মিত বাজার মনিটরিং করতো তাহলে ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত দামে জিনিসপত্র বিক্রি করতে বাধ্য হতো।