নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকমঃ সোনারগাঁয়ের আলোচিত গৃহবধু সাহেরা আক্তার মিতু হত্যার রহস্য উন্মোচন হয়েছে। ফেসবুকে প্রেমের টানে ঘড় ছেড়ে লাশ হতে হয় তাকে।কথিত প্রেমিক ময়মনসিংহে ডেকে নিয়ে গণধর্ষনের পর নির্মমভাবে খুন করে মিতুকে।ঘটনার চারমাস পর মিতু হত্যার রহস্য উদঘাটন করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন – পিবিআই। মিতুর কথিক প্রেমিক ত্রিশালের বালিপাড়ার আবুল কালামের ছেলে মোখলেছ ময়মনসিংহ আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে মিতু হত্যার কথা স্বীকার করে। আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে মোখলেস জানায়, মোখলেস রেলওয়েতে হকারের কাজ করে। ফেসবুকের মাধ্যমে মিতুর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে তার। ফেব্রুয়ারির ২৪ তারিখে মিতুকে ফুসলিয়ে ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশনে নিয়ে আসে মোখলেস।এরপর মোখলেস তার সহযোগীদের নিয়ে সেভেন-আপ ট্রেনে করে মিতুকে ময়মনসিংহ নিয়ে যায়।রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে তারা ত্রিশালের ধলা স্টেশনে পৌঁছে। তারপর আসামিরা সকলে মিলে আনুমানিক ১ কিঃমিঃ দূরে রেল লাইনের পাশে নির্জন স্থানে নিয়ে মিতুর হাত ও মুখ বেধে গণধর্ষণ করে। আরো ধর্ষণ করার লক্ষে মেয়েটিকে পুনরায় অন্যত্র নিয়ে যাবার সময় মেয়েটি জীবন রক্ষার্থে দৌড় দিলে আসামিরা পিছন থেকে রেল লাইনের পাথর দিয়ে মিতুর মাথার পিছনে আঘাত করে। এতে মিতু তাৎক্ষণিক পড়ে যায়। তখন আসামিরা তাকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে রেল ব্রিজের নিচে ডোবার কাঁদা পানিতে চুবিয়ে হত্যা করে ফেলে রেখে চলে যায়।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশালের কামারিয়াপুল নামক স্থানে রেল লাইনের পাশে অজ্ঞাত হিসেবে মিতুর মরদেহ খুঁজে পায় পুলিশ। এ ব্যাপারে ত্রিশাল থানা অজ্ঞাতনামা আসামি করে ত্রিশাল থানার মামলা দায়ের হয়। যার নং-৩৫, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ধারা-৩০২/৩৪।এরপর পিবিআই এর নিজস্ব উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে তার পরিচয় শনাক্ত করে। গত শনিবার রাতে হত্যায় জড়িত মোখলেসুর রহমানকে আটক করে পিবিআই।
দুই সন্তানের জননী সাহেরা আক্তার মিতু সোনারগাঁয়ের লাহাপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী বেলায়েত হোসেনের স্ত্রী। বারসাত নামের ৭ বছরের একটি মেয়ে ও রাতুল নামের ১৫ মাসের একটি ছেলে রয়েছে। এ দুটি শিশু সন্তান রেখেই মিতু গত ২৪ ফেব্রুয়ারি চৌরাস্তার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফিরে আসেননি। পরে উভয় পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুঁজির পর মিতুকে না পেয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতেই তার স্বামী বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।