নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: ১৫ আগষ্ট শোক দিবস উপলক্ষে গতকাল বুধবার বিকেলে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রস্তাবিত কমিটির বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোনারগাঁয়ের সাবেক এমপি ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কায়সার হাসনাতের বাস ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রস্তাবিত কমিটির সকল সদস্যকে দাওয়াত করা হয়। সেই বর্ধিত সভায় অনেক বয়োজ্যেষ্ঠ নেতা উপস্থিত হলেও বয়োজ্যেষ্ঠ নেতাদের মুল্যায়ন না করার অভিযোগ উঠেছে। বয়োজ্যেষ্ঠ নেতাদের বসতে দেয়া হয়েছে স্টেজের তিন নাম্বার সারিতে আর নতুন নেতাদের ঠাই হয়েছে সামনের সারি ও মঞ্চে।এ নিয়ে তৃনমুল নেতাকর্মীদের মধ্যেও সভা নিয়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এছাড়া বর্ধিত সভায় আহবায়ক কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান লিটন বর্ধিত সভার খাতায় স্বাক্ষর না করায় সভায় দেখা দেয় হট্টগোল।
জানাগেছে, ১৫ই জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সাবেক এমপি কায়সার হাসনাতের বাড়িতে প্রস্তুতি সভার আয়োজন করে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রস্তাবিত কমিটির নেতারা। সেই অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেয়া হয় প্রস্তাবিত কমিটির সদস্যদের। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভুইয়া, সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুমসহ প্রস্তাবিত কমিটির অন্যান্য সদস্যরা। সেই বর্ধিত সভায় প্রস্তাবিত কমিটির সহ-সভাপতি ও বারদী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জহিরুল হক, সরমান্দি ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও প্রস্তাবিত কমিটির সহ-সভাপতি ইসহাক মিয়া, সোনারগাঁ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার সোহেল রানার মতো আরো অনেক বয়োজ্যেষ্ঠ নেতা। নিয়ম অনুযায়ী সহ-সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের জায়গা মঞ্চে থাকার কথা থাকলে মঞ্চে বসে ছিলেন প্রস্তাবিত কমিটির নতুন সদস্য ও একাধিক যুগ্ন সম্পাদক ও মোগরাপাড়ার নেতারা। যা নেতাদের দৃষ্টিগোচর হলেও মনের ক্ষোভ মনে রেখে সভা শেষ করে চলে আসেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনা করেছে আওয়ামীলীগের তৃনমুল নেতাকর্মীরা।
তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা করে বলেন, বারদী ইউনিয়নের দুই বারের সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রস্তাবিত কমিটির সহ-সভাপতি জহিরুল হক, সনমান্দি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও প্রস্তাবিত কমিটির সহ-সভাপতি ইসহাক মিয়া ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার সোহেল রানা ও পিরোজপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ন আহবায়ক ডাক্তার আতিকুল্লাহর মতো অনেক বয়োজ্যেষ্ঠ নেতাদের ঠাই হয়েছে পিছনের সারিতে। এটা মেনে যাওয়া যায়না। যারা জীবনের দীর্ঘ সময় পার করেছেন আওয়ামীলীগের রাজনীতির পিছনে অথচ মঞ্চে বসা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাদের দেখেও সামনের সারিতে বসার ব্যবস্থা না করে নবীন ও মোগরাপাড়ার নেতাদের মঞ্চে স্থান দিয়েছেন। এটা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বর্হিভুত কাজ। এ রকম রাজনৈতিক শিষ্ঠাচার বর্হিভুত কাজের জন্য বর্তমানে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগ বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে দলকে খন্ড বিখন্ড হচ্ছে। এতে দিনে দিনে উপজেলা আওয়ামীলীগ দুর্বল হয়ে এবারও নৌকার মনোনয়ন হারা হতে পারে।