নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর থেকে মেঘনা সেতুর দুরত্ব প্রায় ৮ কিলোমিটার। কাঁচপুর সেতু থেকে মেঘনা সেতু এলাকার সড়কটিতে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছিনতাইয়ের ঘটনা। পরিবহন শ্রমিক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রক্ষা পাচ্ছে না ছিনতাইকারীদের কবল থেকে। রাত হলেই মহাসড়কের এ অংশটুকু ভয়ংকর হয়ে ওঠে ছিনতাইকারীরা। ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না হাইওয়ে পুলিশ।
জানা গেছে, মহাসড়কের কাঁচপুর সেতু থেকে মেঘনা সেতু পর্যন্ত কয়েকটি স্পটে ছিনতাই হচ্ছে। স্পটগুলো হলো, মদনপুর, কেওঢালা, লাঙ্গলবন্ধ ব্রিজ, টিপরদি, পিরোজপুর মেরীখালী ব্রিজ আষাঢ়িয়ারচর ও মেঘনা টোলপ্লাজা এলাকা। চলতি বছরে মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জ অংশে কমপক্ষে শতাধিক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। হাইওয়ে পুলিশ ও থানা পুলিশের টহল থাকা সত্ত্বেও অহরহ ঘটছে ছিনতাইয়ের ঘটনা। কিছু ঘটনার মামলা হলেও অধিকাংশ যাত্রী দূর- দূরান্ত এলাকার হওয়ায় আইনের আশ্রয় নিচ্ছেন না। ফলে এসব ঘটনা আড়ালেই থেকে যায়।
জানাগেছে, গত মঙ্গলবার কাজের সন্ধানে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার দক্ষিণঘাটা এলাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ আসেন আরমানুল ইসলাম রিপন (২০) ও আরমানুল ইসলাম রোহান (২২)। ভোর ৫টায় কাঁচপুর মোড়ে বাস থেকে নামার পর গ্রেপ্তারকৃত দুই যুবক তাদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে টাকা ও মোবাইল ছিনতাইয়ের সময় তাতে বাধা দিলে ছিনতাইকারীরা রোহান ও রিপনকে ছুরিকাঘাত করে। গুরুতর অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সকাল ৮টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক রোহানকে মৃত ঘোষণা করে। আহত রিপন বর্তমানে আইসিওতে চিকিৎসাধীন আছে।