নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: সোনারগাঁ উপজেলা গত দেড় মাসের সোনারগাঁ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভায় করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ১৫ জনেরও অধিক মানুষ মত্যু বরণ করেছে। এদের মধ্যে অনেকে মৃত্যুর পর করোনা সনাক্ত হয়েছে, অনেকে আবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে অনেকে আবার নমুনা পরিক্ষা করতে দেয়ার পর মারা গেছেন। তবে অনেকে আবার করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু বরণ করেছেন। এসব মৃত্যুর বেলায় তার পরিবার মুত্যুও নানা কারণ দেখিয়ে প্রশাসনকে না জানিয়ে দাফন সর্ম্পূন করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানাগেছে, গত ১৮ এপ্রিল উপজেলার শম্ভপুরা ইউনিয়নের চেলারচর এলাকায় আসাদ নামের এক ব্যক্তি হোম কোয়ারেন্টারে থাকা অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন। তার পরিবার কাউকে না জানিয়ে দাফন করার সময় এলাকাবাসী বাধা দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মীরা তার নমুনা পরিক্ষা করে করোনা পজেটিভ আসে। এরপর মোগরাপাড়া ইউনিয়নে আব্দুর রহিম নামের এক ব্যক্তি মৃত্যু বরণ করেন। তার পরিবারও প্রথমে অস্বীকার করে সবাই জানান তিনি স্টোক করে মারা গেছেন। পরে এলাকাবাসীর বাধার মুখে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরে তারও রির্পোট পজেটিভ। বাড়ি চিনিষ এলাকায় মৃত্যু বরণ করেন নারগিছ আক্তার ও আলমগীর নামের এক ব্যক্তি। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ তাদের নমুনা পরিক্ষা করেও করোনা পজেটিভ পান। সনমান্দি ইউনিয়নে দানেশ মিয়া, সোনারগাঁও পৌর এলাকার দৈলেরবাগ গ্রামে বকুল মিয়া ও পঞ্চমীঘাট স্কুলের সহকারী শিক্ষক হুমায়ন কবির, কাঁচপুর ইউনিয়নে ফারুক মিয়া ও বাড়িপাড়া এলাকায় ৫০ বছরের এক ব্যক্তি করোনা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এছাড়া সাদিপুর ইউনিয়নে মারা যান সামসুল হক ও শামীম মিয়া মারা যান বাড়িতে, শিমুল খন্দকার মারা যান ঢাকা মেডিকেল কলেজে। এছাড়া গত শনিবার সন্ধ্যায় মোগরাপাড়া কাবিরগঞ্জ এলাকায় করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যান হোসেন (৫৫) নামের এক ব্যক্তি। তিনি সোনারগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে লাইনম্যানের কাজ করতে। গত সোমবার বাড়ী চিনিষ এলাকায় মেয়ের মৃত্যুর ২০ দিনের মাথায় করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যান আবেদুর নেছা নামের এক নারী। দু’জনের পরিবারই করোনার উপসর্গ গোপন করে পরিবারের লোকজন নিয়ে দাফণ সর্ম্পূন করে ফেলেন। অপরদিকে, গতকাল বারদী ইউনিয়নে দৈলরদী গ্রামে মুকবুল হোসেন (৪৫) নামের এক ব্যক্তি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনার মারা যান। তার করোনার নমুনা মৃত্যুর ২দিন আগে সংগ্রহ করা হয়েছিল। একই দিনে বড় আলমদী গ্রামে আবুল বাশার নামের এক ব্যক্তি ও বৈদ্যেবোজার গাবতলি এলাকায় ৫৫ বয়সের এক ব্যক্তি করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যান। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে আরো অনেকে করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাচ্ছেন। যাদের মৃত্যুর করণ অজানাই রয়ে যাচ্ছে। ফলে দিনে দিনে হুহু করে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। আক্রান্ত হচ্ছেন সকল বয়সের মানুষ।
এদিকে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, বর্তমানে অনেক মানুষ করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাচ্ছেন কিন্তু পরিবার থেকে বলা হচ্ছে তারা বিভিন্ন কারণে মারা যাচ্ছেন। তারা প্রথমে মৃত্যুর কারণ গোপন করেছেন। পরে মৃত ব্যক্তিদের করোনার নমুনা পরিক্ষা করা হলে তাদের প্রত্যেকের রির্পোট পজেটিভ আসে। এলাকাবাসীও ঝগড়ার ভয়ে প্রশাসনকে অবহিত করেন না। পরিবারের লোকজন করোনা উপসর্গ গোপন করায় করোনায় সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে মৃত ব্যক্তির পরিবার ও আশপাশের লোকজনের। এজন্যই প্রতিদিনই সোনারগাঁয়ে করোনা রোগী ও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলছে।