নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম : সোনারগাঁয়ে পর্যটকদের আকৃষ্টকারী শরৎ কালের দৃষ্টিনন্দন কাঁশবন বিক্রির হিড়িক পড়েছে। কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠান ও ব্যাক্তি মালিকানার শত শত বিঘা জমিতে বালুর উপর প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো এই কাঁশবন জমির মালিক ছাড়াই যে যেভাবে পারছে সেভাবেই বিক্রি করছে। এতে করে বিক্রিকারী ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের দালালদের সাথে সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার পিরোজপুর ইউপির জৈনপুর, ভবনাথপুর, কান্দারগাঁও, ভাটিবন্দর গ্রামের মাঝখান থেকে মেঘনা নদী পর্যন্ত বালু ভরাটকৃত শত শত বিঘা জমিতে ফুঁটেছে শরৎ কালের দৃৃষ্টিনন্দন কাঁশফুল। প্রাকৃতিক ভাবে জন্মানো এই কাঁশফুল দেখে আনন্দ নিতে প্রতিদিনই বিভিন্ন বয়সী শত শত পর্যটক বেড়াতে যায় মেঘনা নদীর তীরবর্তি এসব এলাকায়। দৃষ্টিনন্দন প্রাকৃতিক এই পরিবেশ পর্যটকদের আনন্দ বিলাসের কারন হলেও আবার এই কাঁশবনই হয়ে উঠছে সাংঘর্ষিক আশঙ্কার কারন।

স্থানীয়রা জানান, কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠান অনেক জমি কিনে আবার অনেক জমি না কিনেই বালু ভরাট করেছে। সেই বালুতে কাঁশবন জন্মেছে। কিন্তু এই কাঁশবন বিক্রির হিড়িক পড়েছে। যে যেভাবে পারছে সে সেভাবেই কাঁশবন বিক্রি করছে। তবে কাঁশবন বিক্রি করছে অধিকাংশ দস্যুবাহিনী ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের দালালরা। এরমধ্যে রয়েছে কান্দারগাঁও, ভাটিবন্দর ও জৈনপুর গ্রামের ভূমিদস্যুখ্যাত দালাল চক্র। মালিকানা জমির কাঁশবনও তারা বিক্রি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি ভাটিবন্দর, কান্দারগাঁও ও জৈনপুর এলাকার মাদক সংশ্লিষ্ট উঠতি বয়সী জুয়াড়ি কয়েকটি দল কিছু কাঁশবন বিক্রি করলে, ভূমিদস্যুখ্যাত দালাল চক্র খবর পেয়ে তাদের শাসিয়ে দেয়। আর এই কারণে স্থানীয়রা আশঙ্কায় রয়েছেন। অনেকে জানায়, বালু ভরাটকে কেন্দ্র করে এখানে কয়েকটি হত্যা করিয়েছে ভূমিদস্যুখ্যাত দালালরা। হত্যার সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে ইউপি সদস্যসহ প্রভাবশালী মহল। আবার এখানেরই কাঁশবন বিক্রি নিয়ে দ্বন্দের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে যেকোন সময় ঘটতে পারে সংঘর্ষ।