নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনের সাবেক সাংসদ আবদুল্লাহ আল কায়সারের ভাষ্য, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশে গত ১৬ ও ১৮ অক্টোবর সোনারগাঁ উপজেলার আটটি ইউনিয়নে বর্ধিত সভা হয়। এ সভায় তৃণমূলের মতামত নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষরসহ প্রতিটি ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়নের জন্য প্রার্থীদের তালিকা করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদের কাছে পাঠানো হয়।
দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জেলা আওয়ামী লীগ সভা করে সব সদস্যের মতামত নিয়ে ওই তালিকা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানোর কথা। কিন্তু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জেলায় কোনো সভা না করেই অনৈতিক সুবিধা নিয়ে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদের নাম কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন বলে তাঁর অভিযোগ।
অভিযোগপত্রে আবদুল্লাহ আল কায়সার আরও বলেন, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান হামিম শিকদার, সাদিপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ, শম্ভুপুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানপ্রার্থী নাসির উদ্দিনের নিজ নিজ এলাকায় জনপ্রিয়তা আছে। তাঁরা একাধিকবার নির্বাচিত হয়েছেন। তৃণমূলের পছন্দের তালিকায় তাঁদের নাম প্রথম দিকে ছিল। কিন্তু জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জনপ্রিয় নেতাদের নাম তালিকার পেছনে রেখে জনবিচ্ছিন্ন নেতাদের নাম প্রথমে রেখে কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন।