নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম: সোনারগাঁ থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি রিয়াজউদ্দিন রিয়াজ প্যারালাইসিস রোগী হয়ে আরেকজনের কাঁদে ভর করে নিয়মিত হাজিরা দিতে আসতে হয় নারায়ণগঞ্জ কোর্টে। সোনারগাঁ থানা পুলিশের দায়ের করা ৪/৫ মামলায় তাকে নিয়মিত হাজিরা দিতে হয়। তিনি বছর খানেক আগে স্টোক করে একটি হাত ও পা অকেজো হয়ে যায়। তারপরও থেকে নেই তার বিরুদ্ধে মামলা। একের পর এক মামলা ও আদালতে নিয়মিত হাজিরা দিতে দিতে মুত্যুর মূখে পতিত হচ্ছেন বশিয়ান এ বিএনপি নেতা।
সোনারগাঁ থানা যুবদল নেতা সেলিম জানান, গত বছর খানেক আগে স্টোক করে থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি রিয়াজউদ্দিন রিয়াজ ভাইয়ের একটি পা ও একটি হাত অকেজো হয়ে যায়। এরপরও তিনি বিএনপি রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে দুরে সরে যান। কিন্তু বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকায় তার বিরুদ্ধে ৪/৫ মামলা হয়। সোনারগাঁ থানা পুলিশ বাদি হয়ে তার বিরুদ্ধে এ মামলাগুলো দায়ের করেন। এরমধ্যে বেশীর ভাগ মামলাই করা হয় সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র, নাশকতার প্রস্তুতি, ভাংচুর ও পুলিশকে সরকারী কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগ এনে। এ সব মামলার আসামী হয়ে রিয়াজউদ্দিনকে অসুস্থ্যতার জন্য যেমন নিয়মিত ডাক্তরের কাছে যেতে হয়ে তেমনি গ্রেফতারী পরোয়ানা থেকে বাঁচতে নিয়মিত হাজিরা দিতে আদালতে আসতে হয়।
জানাগেছে, গত বছর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আগে সোনারগাঁ থানা বিএনপির বিরুদ্ধে ৮/১০টি মামলা দায়ের করেন সোনারগাঁ থানা পুলিশ। এর বেশীর ভাগ মামলাই সরকার উত্থানে বিরোধী দলের নাশকতার প্রস্তুতি। পুলিশের অভিযোগ সরকার উৎখাতের জন্য ও পুলিশের উপর হামলার জন্য সোনারগাঁ থানা বিএনপির নেতারা প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সংবাদের ভিত্তিতে সোনারগাঁ থানা এলাকা থেকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদ ও পৌরসভার কাউন্সিলরসহ থানা বিএনপি কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। সে ঘটনায় সোনারগাঁ থানা পুলিশ বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করেন। সে মামলা আসামী করা হয় থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও প্যারালাইসিস রোগী রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজকে।