• দুপুর ২:০৮ মিনিট শুক্রবার
  • ২৬শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  • ঋতু : গ্রীষ্মকাল
  • ৯ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
এই মাত্র পাওয়া খবর :
দুই দিন ধরে স্কুল ছাত্র নিখোঁজ তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা জাতীয় পার্টিকে বাঁচিয়ে রাখবে: এমপি খোকা অনুমোদনহীন প্রস্তাবিত কমিটির পরিচিতি সভা জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে সাদিপুরে দোয়া ও আলোচনা সভা ডাঃ বিরুর নেতৃত্বে জামাত শিবিরের নৈরাজ্য রুখতে প্রতিবাদ মিছিল কাঁচপুরে এক পরিবহন চাঁদাবাজ গ্রেপ্তার উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত বিএনপির উদ্যোগে কুরআন পাঠ, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল সোনারগাঁয়ে ১০ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন বারদী আশ্রমে আশপাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ দেড় কোটি টাকার ইয়াবাসহ আটক ৪ সোনারগাঁয়ে অভিনব কায়দায় মিশুক চুরি সোনারগাঁ উপজেলা- থানা সড়কের নির্মান কাজ পরিদর্শনে এমপি খোকা সোনারগাঁ জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত সোনারগাঁয়ে ২০ কেজি গাঁজাসহ আটক ১ সোনারগাঁয়ে ভুয়া ডিগ্রীধারী চিকিৎসককে ১ বছরের কারাদন্ড অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও বকেয়া বিল আদায়ে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন তিনদিন ধরে তাহিন মিয়া নিখোঁজ সাদিপুর ইউনিয়ন জাতীয়পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ছোট ভাই হত্যার রায় ঘোষনার ২৪ ঘন্টা না পেরুতেই ছোট ভাই গ্রেপ্তার
আদর্শিক জোট অক্ষুণ্ন রেখেই বৃহত্তর নির্বাচনি ঐক্য করবে আ. লীগ

আদর্শিক জোট অক্ষুণ্ন রেখেই বৃহত্তর নির্বাচনি ঐক্য করবে আ. লীগ

Logo


বিএনপির অংশগ্রহণের বিষয়টি মাথায় রেখেই নির্বাচনে প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ। বিএনপির অংশ নিলে নির্বাচন হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। সে কারণে আটঘাট বেঁধে মাঠে নামছে ক্ষমতাসীন দলটি। নির্বাচনি বৈতরণী পার হতে আগেভাগে তৎপরতা শুরু করেছে তারা। উদ্যোগ নিয়েছে বৃহত্তর নির্বাচনি জোট গঠনের। সে ক্ষেত্রে বিদ্যমান আদর্শিক জোট অখণ্ড রেখেই ২০০৮ সালের আদলে মহাজোট বা নির্বাচনি জোট গঠনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ। এজন্য তারা টার্গেট করেছে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার স্বপক্ষের সব রাজনৈতিক দলকে। ইসলামি ভোট ব্যাংককে কাজে লাগাতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ইসলামিক দলগুলোকেও কাছে টানার চেষ্টা হচ্ছে। তবে শরিক একাধিক দল ১৪ দলীয় জোটে নতুন সদস্যের অন্তর্ভুক্তির বিরোধী। অবশ্য নির্বাচনি জোটে অন্যদের সম্পৃক্ততায় তাদের আপত্তি নেই।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলের একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এদিকে নিজেদের নির্বাচনি জোট গঠনের উদ্যোগের বিপরীতে বিএনপিও যে তাদের জোট সম্প্রসারণে তৎপরতা চালাচ্ছে, তাতে অবশ্য মাথাব্যথা নেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের। উল্টো বিএনপির এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে দলটির নেতারা বলেছেন, নির্বাচনের আগে জোট গঠন গণতান্ত্রিক দেশেই দেখা যায়। এটা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষণ। বিএনপির তৎপরতায় বোঝা যাচ্ছে তারা ২০১৪ সালের বয়কটের নির্বাচন থেকে সরে এসে এবার নির্বাচনে অংশ নেবে।
জানা গেছে, নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট সম্প্রসারণের উদ্যোগের অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এরই মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে থাকা কয়েকটি দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তাদের কারো সঙ্গে তিনি ফোনে কথা বলেছেন, কারো কারো কার্যালয়ে গিয়ে দেখা করে এসেছেন। কেউ কেউ আবার ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে তার কার্যালয়ে এসে কথা বলে গেছেন।
গত মাসের শেষের দিকে ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি ও সদ্যগঠিত বাম গণতান্ত্রিক জোটের অন্যতম নেতা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, একই জোটের নেতা ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, নাজমুল হুদা, ২০ দলীয় জোটের শরিক দল এলডিপির সভাপতি কর্নেল অলি আহমেদ এবং বিকল্পধারার মহাসচিব সদ্যগঠিত যুক্তফ্রন্টের নেতা মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের সঙ্গে কথা বলেছেন। এর আগে গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার নেতৃত্বাধীন ৯টি দলের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় জোট বৈঠক করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সঙ্গে।
জাতীয় জোটভুক্ত দলগুলো হলো তৃণমূল বিএনপি, গণতান্ত্রিক আন্দোলন, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স, সম্মিলিত ইসলামিক জোট, কৃষক শ্রমিক পার্টি, একামত আন্দোলন, জাগো দল, ইসলামিক ফ্রন্ট ও গণতান্ত্রিক জোট।
ওই বৈঠকে তারা ১৪ দলে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলে শরিকরা এর বিরোধিতা করেন এবং নির্বাচনি ঐক্যের অংশ হিসেবে ঐক্যমত্য হওয়ার পক্ষে মত দেন।
আওয়ামী লীগ সূত্র জানিয়েছে, নানা ফরম্যাটে তারা জোটের আকার বাড়নোর চেষ্টা করছে। এ ক্ষেত্রে নীতি-আদর্শের সঙ্গে পুরোপুরি মিল রয়েছে এমন দলকে ১৪ দলীয় জোটের সরাসরি অন্তর্ভুক্তি, কাউকে কাউকে নির্বাচনি ঐক্যের আসন ভাগাভাগি, আর যেসব দল বা জোট সরাসরি জোটে আসবে না তাদেরও নির্বাচনে যুগপৎভাবে রাখা যায় কিনা, সেই চিন্তা চলছে। এছাড়া ইসলামি ভোটব্যাংকে ভাগ বসাতে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে থাকা ইসলামি দলগুলোকেও বিভিন্ন ফরম্যাটে ঐক্যে আনার চেষ্টা চলছে। এর অংশ হিসেবে ইসলামী ঐক্যফ্রন্ট বাংলাদেশ, ২০০৮ সালের নির্বাচনে আগে মহাজোটে থাকা জাকের পার্টিসহ ইসলামিক ভাবধারার আরও কয়েকটি দলের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় কথাবার্তা চলছে।
গত ২০ আগস্ট ও ২৬ আগস্ট সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ওবায়দুল কাদের এসব দলের নেতাদের সঙ্গে জোট সম্প্রসারণ ইস্যুতে আলোচনা করার কথা জানান। তিনি বলেন, ১৪ দলীয় জোটের বাইরে থাকা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দলগুলোর সঙ্গে তারা যোগাযোগ করছেন। তিনি নিজেও কয়েকটি দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাদের কেউ কেউ ইতিবাচক সাড়াও দিয়েছেন।
জোট গঠন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জোট সম্প্রসারণ হতে পারে। নতুন জোটও হতে পারে। অনেকে আসতে চাইছেন, অনেকে আলাদা জোট করতে চাইছেন। বিষয়টি আলাপ-আলোচনার পর্যায়ে আছে, ফাইনাল শেপ নেয়নি। ফাইনাল শেপ না হওয়া পর্যন্ত কে আসবে বা কে আসবে না, তা মন্তব্য করা সম্ভব নয়। তবে শেষ পর্যন্ত কী হয়, তা জানা যাবে অক্টোবরে। শেষ পর্যন্ত বিষয়টা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়— এটা পরিষ্কার হবে অক্টোবরে। তবে নতুন নতুন মেরুকরণ নির্বাচন ও রাজনীতিতে খুবই জটিল সমীকরণ। এটি সময় সময় পরিবর্তন হয়। কাজেই এ মুহূর্তে এ নিয়ে চূড়ান্ত কিছু বলা যাবে না।’
মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদও সম্প্রতি নির্বাচন প্রশ্নে নিজ দলের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। বিএনপি জোটের সঙ্গে তার দল জাতীয় পার্টি যাবে না উল্লেখ করে গত ১৮ আগস্ট রংপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, তারা দুধরনের প্রস্তুতি রেখেছেন। বিএনপি নির্বাচনে এলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে করবে জাতীয় পার্টি। আর বিএনপি না এলে জাতীয় পার্টি এককভাবে ৩০০ আসনে নির্বাচন করবে।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুহম্মদ ফারুক খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গণতান্ত্রিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ সব সময় সবাইকে নিয়েই চলতে চায়। আমরা অতীতেও জোট-মহাজোট গঠন করেছি। এবারও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমরা জোটবদ্ধ হওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। নির্বাচন যতই এগিয়ে আসবে এটি ততই দৃশ্যমান হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনি জোট হতেই পারে। বেসিক পয়েন্টে আমরা কারো সঙ্গে একমত হলে জোট হতেই পারে। তবে আমাদের আদর্শিক জোট হচ্ছে ১৪ দলীয় জোট। আমরা যে ধরনের জোট করি না কেন সেটা করবো আমাদের আদর্শিক জোটকে অক্ষুণ্ন রেখেই।’
জোট সম্প্রসারণে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরে তৎপরতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার জানা মতে, বেশ কয়েকটি দল বিভিন্ন ফরম্যাটে নির্বাচনে আমাদের সঙ্গে থাকার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। কেউ কেউ জোটেও আসতে চায়। পারস্পরিক আলোচনা করে আমরা এটি জায়গায় পৌঁছাবে। সামনের দিনগুলোতে এটা একটি পর্যায়ে দাঁড়াবে।’
বিএনপির জোট গঠনের প্রচেষ্টায় স্বাগত জানিয়ে ফারুক খান বলেন, ‘আমরা চাই আগামীতে দেশে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনের লক্ষ্যে যেকোনও রাজনৈতিক তৎপরতাকে আমরা স্বাগত জানাই। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তারা যদি জোটকে আরও সম্প্রসারণ করে— এটা তো খুবই ভালো কথা। এই উদ্যোগে স্পষ্ট হচ্ছে যে তারা নির্বাচনমুখী।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলো জোট গঠন করবে, তাদের মধ্যে একটি মেরুকরণ হবে— এটা গণতন্ত্রের স্বাভাবিক নিয়ম। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশে এই চর্চা আমরা দেখে আসছি। কাজেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমরা যদি জোটের কলেবর বাড়াতে পারি, তাহলে বিএনপিও সেটা করতে পারে। এখানে দোষের কিছু নেই, এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়; এসবই সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষণ।’
দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘বিএনপির জোটের বিষয়টি তারাই বলতে পারবে। তবে আমরা চাই জোট করে হোক আর যেভাবে হোক তারা নির্বাচনে আসবে। আমাদের জোট গঠনের বিষয়টি আলোচনার মধ্যেই রয়েছে। নির্বাচনের আগেই চূড়ান্ত হবে যে জোট আমরা কীভাবে করবো।’
২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে গঠিত জোটের প্রসঙ্গ তুলে ১৪ দলের মুখপাত্র নাসিম বলেন, ‘১৪ দলীয় জোট আছে, থাকবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমরা যেটা করবো, তা হলো নির্বাচনি ঐক্য। ২০০৮ সালে জাতীয় পার্টিসহ অন্য কিছু দলকে নিয়ে আমরা যে মহাজোট করেছিলাম সে ধরনের জোট হবে। আর এখানে আমাদের মৌলিক অবস্থান হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে যারা রয়েছে তাদের সবাইকে আমরা এই মহাজোটে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করবো।’
১৪ দলীয় জোটের শরিক গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন বাংলা ট্রিবেউনকে বলেন, ‘নির্বাচনি বৈতরণী পার হওয়ার জন্য যেকোনও কৌশল নিতেই পারে। এজন্য নির্বাচনি বৃহত্তর জোট বা মহাজোট হতেই পারে। আমরাও চাই নির্বাচনের স্বার্থে এ ধরনের উদ্যোগ হোক। তবে ২৩ দফার ভিত্তিতে গঠিত আমাদের আদর্শিক জোট অক্ষুণ্ন রেখেই এই নির্বাচনি জোট হবে।’
নির্বাচনি মহাজোট গঠনের ১৪ দলীয় জোট অবিকৃত থাকবে বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তাদের আশ্বস্ত করেছেন বলে শাহাদাৎ হোসেন জানান। সুুুুত্র বাংলা টিভিউন


Logo

Website Design & Developed By MD Fahim Haque - Web Solution