নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম: দীর্ঘদিন নিজেদের অভ্যন্তরিন কোন্দল মিটিয়ে নিজেদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত আওয়ামীলীগের নেতারা। ঐক্য গড়ে নিজেদের মধ্যে সকল ভুলবুঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে সভা সমাবেশ ও দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে নেয়ার ঘোষনা দেন তারা। সাথে উপজেলা আওয়ামীলীগের নব গঠিত আহবায়ক কমিটিকেও প্রতিহত করার ঘোষনা দেন। তবে উপজেলা আওয়ামীলীগের ঐক্য গড়ে তোলার কিছুদিন যেতে না যেতেই পিছুটান নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নেতাকর্মীরা। ফলে যে উদ্দেশ্যে গড়া তাদের ঐক্য তা আলোর মুখ দেখার আগেই ভেস্তে গেছে বলে মনে করে তৃনমুল নেতাকর্মীরা।
জানাগেছে, আওয়ামীলীগ পরিবার হিসেবে খ্যাত হাসনাত পরিবারে দীর্ঘদিন যাবত তাদের বিভিন্ন কারণে অভ্যন্তরিন দ্বন্ধ চলে আসছিল। প্রয়্যাত নেতা আবুল হাসনাত বেঁচে থাকাকালিন সময়ে আবুল হাসনাত তার ছোট ভাই মোশারফ হোসেন ও কালামের সাথে দ্বন্ধ শুরু হয়। সে সময় থেকে অদ্যবধি বিভিন্ন কারণে বিরাজমান সেই দ্বন্ধ। আবুল হাসনাত মারা যাওয়ার পর তার ছেলে সাবেক এমপি কায়সার হাসনাতও অবশেষে সে দ্বন্ধে বিভিন্ন ভাবে জড়িয়ে পড়েন। কখনও অধিপত্য বিস্তার কখনওবা রাজনৈতিক কারণে এসব দ্বন্ধ চলছিল। সেই আবুল হাসনাত থেকে চলা আসা দ্বন্ধের অবসান ঘটিয়ে গত ১৪ জুলাই কায়সার, মোশারফ হোসেন, কালাম ও এএইচএম মাসুদ দুলালকে বাদ দিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির ঘোষনা পর নড়েচড়ে বসেন কোন্দলে জড়িয়ে থাকা এ নেতারা। নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচাতে দীর্ঘদিনের অভ্যন্তরিন কোন্দল ভুলে এ মঞ্চে উঠেন সকল নেতাকর্মীরা। বিশাল সমাবেশ করে প্রতিজ্ঞা করেন অতিতের সবকিছু ভুলে নতুন করে একত্রে মিলেমিশে রাজনীতি করবেন এবং নব্য ঘোষিত আহবায়ক কমিটিকে প্রতিহত করবেন। সে প্রতিহতের ঘোষনা দিয়ে তারা জামপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ডাকা সম্মেলন বন্ধ করে দিয়ে আহবায়ক কমিটির সদস্য বিরুর সমর্থকদের মারধরও করেন। সে ঘটনায় কিছুদিন না পেরুতেই সু-চতুর আহবায়ক কমিটির সদস্যরা কমিটি ঘোষনা বাদ দিয়ে কায়সার, মোশারফ, কালাম ও দুলালের গড়া ঐক্যে ফাটল ধরাতে প্রাণপন চেষ্টা করে সফল হন। আহবায়ক কমিটি সু-কৌশলে ঐক্যে থাকা আওয়ামীলীগের এক নেতাকে সভাপতি পদটি দিবেন বলে ম্যানেজ করে নেন। আহবায়ক কমিটি সেই নেতাকে ম্যানেজ করার পর তাদের পরবর্তি কার্যপ্রণালীও প্রস্তুত করে ফেলেছেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। অপরদিকে, মাহফুজুর রহমান কালামকে শোকজ নোটিশ প্রেরনের পর ঐক্য গড়ে তোলা নেতারা নিজ স্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন বলে অভিযোগ করেন তৃনমুল নেতারা। তৃনমুল নেতারা জানান, আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করার পর উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতারা যে মাইনক্কা চিপায় পড়েছিলেন সে চিপা থেকে রক্ষা পেতে নিজেদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলেছিলেন কিন্তু আহবায়ক কমিটি যখন সভাপতি ছাড়াও অন্যান্য পদ বিদ্রোহীদের জন্য ছেড়ে দিতে সম্মত হয়েছেন ঠিক সে মুর্হুতে ঐক্য গড়া সকল নেতাই এখন ঐক্যের বন্ধন ভুলে আহবায়ক কমিটিতে স্থান পেতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ফলে দীর্ঘদিন পর নিজেদের অভ্যন্তরিন কোন্দল ভুলে আওয়ামীলীগের নেতারা যে ঐক্য গড়ে তোলে ছিলেন সেটা যতটুকু না সামনে এগুচ্ছিলো তার চেয়ে বেশী পিছুটান নিয়েছে। ফলে যে উদ্দেশ্যে গড়া তাদের ঐক্য তা আলোর মুখ দেখার আগেই ভেস্তে গেছে বলে মনে করে তৃনমুল নেতাকর্মীরা।