নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম:
ভারতের কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি-লিট ডিগ্রি অর্জন, মহাকাশে সফলভাবে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট পাঠানো, অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে গ্লোবাল উইমেন্স লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড অর্জন এবং বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করায় আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে গণসংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে এ সংবর্ধনায় সোনারগাঁ থেকে মনোনয়ন প্রত্যার্শীরা তাদের সামর্থনুযায়ী যে যার যার নেতাকর্মী নিয়ে বিশাল শোডাউন করেন। এদের মধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাশী কায়সার হাসনাত ও মাহফুজুর রহমান কালাম কয়েক হাজার নেতাকর্মী নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেত হলেও আরেক মনোনয়ন প্রার্থী ডাঃ আবু জাফর বিরু তেমন কোন চমক দেখাতে পারেনি।
সেই সংবর্ধনা নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি কায়সার হাসনাত সকাল নয়টায় কয়েক হাজার নেতাকর্মী সমন্বয়ে বিশাল বহর নিয়ে সোনারগাঁ থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রধানমন্ত্রীর গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এসময় তার সাথে আগত নেতাকর্মীরা কায়সার হাসনাতের ছবি সম্বলিত টি-শার্ট, ঢাক-ঢোলের তালে তালে জয় বাংলা, বাংলার জয়; ভোট দিন ভোট দিন দেশের উন্নয়নের স্বার্থে আবারো নৌকায় ভোট দিন স্লোাগানে গোটা এলাকা মুখরিত করে তুলেন।
এছাড়া সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালামের নেতৃত্বে কয়েক হাজার নেতাকর্মীরা বিশাল এক মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামীলীগের উদ্যোগে বিশাল গনসংর্বধনা অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠান উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার বিকালে পৌরসভার চামেলী হাউজে কালামের নেতৃত্বে এক প্রস্তুতি মুলক সভা হয়। সে সভায় যোগ দেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মোঃ বাদল। সেই প্রস্তুতি সভায় জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ কালামকে কয়েক হাজার নেতাকর্মী নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাওয়ার জন্য বলেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার সকালে সোনারগাঁয়ে ১০টি ইউনিয়ন ১টি পৌরসভা থেকে শতাধিক বাস নিয়ে মাহফুজুর রহমান কালাশ দোয়েল চত্বরে সমাবেত হন। সেখান থেকে নেচে গেয়ে বিভিন্ন শ্লোগানে রাজপথ মূখরিত করে সমাবেশ স্থলে যোগ দেন।
অপরদিকে, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডাঃ আবু জাফর চৌধুরী বিরু সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তেমন কোন চমক দেখাতে পারেনি বলে মনে করেন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। তিনি শুধু মাত্র তার এলাকা জামপুর ইউনিয়ন থেকে কিছু কর্মী সমর্থক, আবাল বনিক ও বালক নিয়ে গনসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যান। তার মিছিলে ছিল না কোন উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা, ছিলনা কোন দলীয় আমেজ। তিনি তার ভাড়া করা কয়েকজন নেতাকর্মী নিয়ে সমাবেশ স্থলে যান। আগামী নির্বাচনে একজন মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থী অল্প কিছু সংখ্যক ভাড়াকরা নেতাকর্মী নিয়ে সমাবেশ স্থলে যোগদান করাটাকে ভালো চোখে দেখছেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা জানান, যেখানে কায়সার হাসনাত, মাহফুজুর রহমান কালাম ও এএইচএম মাসুদ দুলাল কয়েক হাজার নেতাকর্মী নিয়ে ঢাক-ঢোল বানিয়ে টিশার্ট পরে সমাবেশ স্থলে গিয়ে দেশের মানুষকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। যাদের নিয়ে ইতিমধ্যে বিভিন্ন মিডিয়া সংবাদও প্রচার করেছে সেখানে বিরুর মতো জেলা আওয়ামীলীগের একজন নেতা ভাড়া করা কর্মী নিয়ে সমাবেশে যোগদান করা একজন মনোনয়ন প্রত্যাশীর জন্য শুভ হতে পারে না। তারা আরো বলেন, অনেক নেতাকমীর কাছে শুনতে পাওয়া যায় ডাঃ আবু জাফর চৌধুরী বিরু নিশ্চিত মনোয়নয়োন পাবে, সেখানে আজকে তার এই দুর্বল শোডাউন আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন প্রাপ্তীতে আব্দুলাহ আল কায়সার হাসনাত ও মাহপুজুর রহমান কালাম এর সাথে প্রতিযোগীতায় তাকে অনেকটা দুরে ঠেলে দিবে।