নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম: বিএনপির রাজনৈতিক অঙ্গনে যিনি সরকার বিরোধী আন্দোলনে সোনারগাঁ থেকে নেতৃত্ব দিয়ে সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করে উপজেলা ও পরবর্তিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টিকেট নিয়ে এসে ছিলেন সেই আজহারুর ইসলাম মান্নান এখন আম ছাড়া দুটো ই হারিয়ে বসেছেন। সদ্য অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আসায় তিনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছিলেন। এখন সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হয়ে সংসদ তো হারালেনই সাথে হারালেন চেয়ারম্যানের পদ।
রাজনৈতিক সূত্র থেকে জানা যায়, গত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে বিএনপি ও জামায়াত জোটের ভরাডুবি হয়। সেই নির্বাচনে পর থেকে টানা ১২ বছর ক্ষমতা থেকে দুরে চলে যান দলটি। সে সময় থেকে সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগ সরকার বিরোধী সকল দলীয় কর্মকান্ডে অংশ নেন থানা বিএনপির সেক্রেটারী ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম মান্নান। এছাড়া গত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হয়ে চারবারের এমপি রেজাউল করিম অনেকটা আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যান। সে সময় থেকে আজহারুল ইসলাম মান্নান দলের হার ধরেন। তৃনমুল নেতাকর্মীদের হামলা-মামলাসহ বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়েন তার নেতাকর্মী নিয়ে। এজন্য তিনি ২৫টিও বেশী মামলার আসামী হয়েছেন। জেলও খেটেছেন। শুধু তিনি নন তার ছেলে জেলা ছাত্রদলের সেক্রেটারী খাইরুল ইসলাম সজিবও মামলা খেয়ে একাধিকবার জেল খেটেছেন। সারা দেশে যখন বিএনপি আন্দোলন সংগ্রামে জিমিয়ে পড়েছেন সেখানে আজহারুল ইসলাম মান্নান তার নেতাকর্মী নিয়ে রাজপথে থেকে ছেন বুক ফুলিয়ে। তার পুরস্কার স্বরূপ বিএনপি তাকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী করেন। এর আগে তিনি ২০১৪ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ থেকে জয়লাভ করেন। এবার দল তাকে মনোনয়ন নিবেন এমন সবুজ সংকেতের পর তিনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি নেন। অব্যাহতি নেওয়ার পর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করে জামানত হারান মহাজোটেরর প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকার সাথে। এদিকে, উপজেলা পরিষদ পদ থেকে অব্যাহতি নেওয়া মান্নান এখন দু দিকে কুল হারিয়েছেন। এমনকি সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়ায় তিনি ফের উপজেলা পরিষদেরও প্রার্থী হতে পারছেন না। ফলে একদিকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি অপরদিকে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হয়ে আম ছালা দুটোই হারিয়েছেন বলে মনে করছেন স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা।