নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম:
দীর্ঘদিন ধরে হামলা-মামলায় জজ্জরিত সোনারগাঁ থানা বিএনপি রাজনৈতিক ভাবে বির্পযস্ত হয়ে পড়েছিল। এমতাবস্থায় কোন রাজনৈতিক নেতাকে দেখা যায়নি সোনারগাঁয়ে। ফলে সোনারগাঁ বিএনপির কর্মকান্ড নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছিল তৃর্নমুল নেতাকর্মীরা। একদিকে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি অপরদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সবকিছু মিলে চিন্তার শেষ ছিলনা এসব নেতাকর্মীর। কিন্তু সব সংশয় কাটিয়ে ঈদুর ফেতরকে ঘিরে ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করছে সোনারগাঁ বিএনপি। এজন্য নেতারা দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা সাথে তাদের নেতাকর্মীদের সাথে রাজনৈতিক বিষয়ে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন ও বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে গনসংযোগ করছেন।
জানাগেছে, জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৫ বছরের সাজা দেওয়া হয়। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে একের পর এক মামলায় দিশেহারা হয়ে উঠে সোনারগাঁ থানা বিএনপি নেতাকর্মীরা। সে মামলায় থানা বিএনপি অনেক নেতাকে কারাগারে যেতে হয়েছে। ফলে বিএনপি নেতাকর্মীরা রাজনীতির পরিবর্তে হাজিরা দিতে কোর্টে বারান্দায় কাটিয়েছেন। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সোনারগাঁ থানা বিএনপি চাঙ্গা হতে শুরু করেছে। বিশেষ করে ঈদুর ফেতরকে ঘিরে নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্থানে গন সংযোগ করেছেন। এছাড়া মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতারাও সোনারগাঁয়ে এসে নেতাকর্মীদের সাথে সাক্ষাত করে তাদের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। নেতারা জানান, নির্বাচনের পথ খোলা রেখে অক্টোবরে দলের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিতে সরকারকে বড় ধরনের ধাক্কা দিতে চায়। আন্দোলনের ঝড়ো হাওয়া তুলেই নির্বাচনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। জুলাই থেকে কেন্দ্রের নির্দেশ মোতাবেক শুরু করবে ছোটখাটো কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলনের ওয়ার্মআপ। সঙ্গে চলবে নির্বাচন প্রস্তুতিও। এজন্য তারা নেতাকর্মীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন।
জানাগেছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সোনারগাঁ থানা বিএনপির একাধিক নেতা দলীয় মনোনয়নের জন্য প্রার্থী ঘোষনা করে মাঠে কাজ করছেন। এদের মধ্যে রয়েছে সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রেজাউল করিম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম মান্নান, থানা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু জাফর, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল ও যুব উন্নয়ণ অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ওয়ালিউর রহমান আপেল।
সুত্র জানায় খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রজু হওয়ার পর অনেক নেতা দীর্ঘদিন সোনারগাঁয়ে আসেননি। ফলে তাদের নেতাকর্মীরা তাদের দেখা না মেলায় অনেকটাই হতাশায় দিন যাপন করেছেন। এদিকে, ঈদুর ফেতরকে সামনে রেখে বিএনপির নেতারা আবারও সোনারগাঁয়ে এসে নেতাকর্মীদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেছেন। এদের মধ্যে অধ্যাপক রেজাউল করিম দীর্ঘদিন পর তার এলাকায় ঈদের জামাত আদায় করে নেতাকর্মীদের সাথে কুশর বিনিময় করেছেন। অপরদিকে, আজহারুল ইসলাম মান্নান ঈদের দিন তার বাড়ী প্রতাবেরচর এলাকায় ঈদের জামাত আদায় করে সারাদিন তার বাড়িতে নেতাকর্মীদের সাথে কুশল বিনিময় করছেন। পরের দিন থেকে তিনি সোনারগাঁয়ে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে গনসংযোগ করেন এবং নেতাকর্মীদের সাথে সাক্ষাত করেন। এছাড়া ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ ও ওয়ালিউর রহমান আপেলও নিজের এলাকায় ঈদের জামাত আদায় করে নেতাকর্মীদের সাথে কুশল বিনিময় করে রাজনৈতিক বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
অপরদিকে, সনমান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেনের ৪র্থ মৃত্যু বার্ষিকীতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি ও মহানগর বিএনপির সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ সোনারগাঁয়ের সকল মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতাদের মিলন মেলায় পরিনত হয়। সেখানে তারা সোনারগাঁ থানা বিএনপি নেতাকর্মীদের করনীয় সর্ম্পকে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
এদিকে, ঈদের পর আজহারুল ইসলাম মান্নানের বাড়িতে সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সে সভায় আগামী নির্বাচনকে ঘিরে দলের এক্যের জন্য ডাক দেন নেতারা। তাদের এক্যের ফলে প্রাণ ফিরেছে থানা বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে।