নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর দুদিন বাকি থাকলেও নির্বাচনী মাঠে প্রচারনায় নেই বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি কায়সার হাসনাত। গতকাল বুধবার থেকে তাদের দেখা যাচ্ছেনা কোন প্রচার-প্রচারনা ও গণসংযোগে। তবে, নেতার জানিয়েছে হামলা-মামলা ও গ্রেফতার আতংকে তারা মাঠে নামতে পারছেনা।
জানাগেছে, আগামী ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ- (সোনারগাঁ) আসন থেকে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছে। এদের মধ্যে মহাজোট প্রার্থী বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা লড়ছেন লাঙ্গল প্রতিক নিয়ে, বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নান লড়ছেন ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে এবং স্বতন্ত্র থেকে সিংহ প্রতিক নিয়ে লড়ছেন সাবেক এমপি কায়সার হাসনাত।
গত ৯ তারিখে প্রতিক বরাদ্ধের পরই সাবেক এমপি কায়সার হাসনাত মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় জনসভা করে সিংহ প্রতিকের প্রচারনা শুরু করেন। অপরদিকে, বিএনপি ও ঐক্যজোটের প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নান কাঁচপুর জামে মসজিদে দোয়া মাহফিলের মধ্য দিয়ে প্রচার-প্রচারনা শুরু করেন। এছাড়া বর্তমান এমপি ও মহাজোটের প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকা উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সমর্থন নিয়ে শম্ভুপুরা ইউনিয়নে গণসংযোগ শুরু করেন।
৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনকে সামনে রেখে তিন দলই সমান ভাবে উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় গণসংযোগ, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে যান। সম্প্রতি তিন দলের নেতাকর্মীরা একে অপরের উপর হামলা ও ক্যাম্প ভাংচুরের ঘটনায় ভাটা পড়ে গনসংযোগে। এসব ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে সোনারগাঁ থানায় কয়েকটি মামলা করা হয়। অপরদিকে, গত ২৪ ডিসেম্বর এশিয়ান হাইওয়ে সিংরাবো এলাকায় বিএনপি ও আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সাথে সংঘর্ষ হয়। সে ঘটনায় সোনারগাঁ থানা পুলিশের এসআই জুবায়ের উপরও নাকি হামলা হয় এ অভিযোগ এনে ৩ শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করে এসআই জুবায়ের। এদিকে একের পর হামলা আর মামলার কারনে গ্রেফতার আতংকে গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারনা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ধানের শীষ ও সিংহ প্রতিকের সমর্থকরা। এ কারনে গত বুধবার থেকে সোনারগাঁ উপজেলা কোথাও দেখা যায়নি দু’প্রার্থীর সমর্থকদের। এছাড়া মান্নানের প্রার্থীতা বাতিলের জন্য আদালতে রিট করেন সাবেক এমপি কায়সার হাসনাত। এ রিটের কারণে বিএনপি নেতাকর্মীরা গত কয়েকদিন ধরে নির্বাচনী মাঠে নামতে পারছেনা বলে জানিয়েছেন তারা।
এ তিন প্রার্থীর মধ্যে মহাজোটের প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকার সমর্থকরা প্রতিদিনই উপজেলা বিভিন্ন স্থানে মিছিল মিটিং, সভা-সমাবেশ ও গনসংযোগ করে যাচ্ছেন। বিএনপি ও স্বতন্ত্র এ দু’প্রার্থী মাঠে না থাকার কারণে অবর্তমানে নির্বাচনী মাঠে অনেকাই জায়গা করে নিয়েছেন মহাজোটের লাঙ্গল প্রতিক।