নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম:
পিরোজপুর ইউনিয়নের তৃনমুল নেতারা জানিয়েছেন স্বশিক্ষিক আর শিক্ষিতের বেড়া জালে আটকা পড়েছে সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়ন যুবলীগ। যার কারণে রাজনৈতিক ভাবে স্থিতিবিরত হয়ে পড়েছে জাকির হোসেন ও তানবির আহম্মেদের ইউনিয়ন যুবলীগের কর্মকান্ড। একজন স্বশিক্ষিত আরেক জন্য শিক্ষিত এবং ব্যবসায়ী দ্ধন্ধের কারণে মন থেকে কেউ কাউকে মেনে নিতে পারছেনা। নিজেদের এর রকম মনোভাব ও সম্বয়নহীনতার কারনে দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে মেরুদন্ডহীন হয়ে পড়েছে পিরোজপুর ইউপি যুবলীগ।
তৃনমুল নেতারা জানান, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীল যুবলীগ একটি শক্তিশালী সংগঠন। ইতিমধ্যে তারা তার প্রমাণ দিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকান্ডে। বিশেষ করে কায়সার হাসনাতের বলয়ে থাকা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু ও সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার তাদের কর্ম দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন। তারা উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা কমিটির পাশাপাশি অনেক ওয়ার্ড কমিটিও ঘোষনা করেছেন। এদের মধ্যে পিরোজপুর ইউনিয়ন যুবলীগের কমিটি ঘোষনার পর থেকেই সভাপতি জাকির হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী তানবির আহম্মেদ কেই কাউকে সহজ ভাবে মেনে নিতে পারছেনা। কারণ হিসেবে তারা উল্লেখ করেন, পিরোজপুর ইউনিয়নে যাকে সভাপতি করা হয়েছে সে জাকির হোসেন একজন স্বশিক্ষিত অপরদিকে, সাধারণ সম্পাদক তানবির আহম্মেদ পেশায় ব্যবসায়ী হলেও একজন প্রকৌশলী। তাছাড়া তাদের মধ্যে রয়েছে কোম্পানীর জমি দালালি নিয়ে দ্ধন্ধ।
২০১৭ সালে ২৩ মার্চ পিরোজপুর ইউনিয়ন যুবলীগের কমিটির অনুমোদন দেন উপজেলা যুবলীগ। ব্যবসায়ী জাকির হোসেনকে সভাপতি ও প্রকৌশলী তানবির আহম্মেদকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫ সদস্যদের একটি কমিটি ঘোষনা করা হয়। যখন জাকির হোসেনকে ইউনিয়নের সভাপতি ঘোষনা করা হয় তখন তিনি ২টি হত্যা ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠে। জাকির হোসেন রাজনৈতিক ভাবে একজন দক্ষ সংগঠক হলেও ব্যক্তি জীবনে রয়েছে নানা অভিযোগ। নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন জাকির হোসেন সে সময় মোটা অংকের অর্থ ব্যয় করে ও তার শশুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড সভাপতি সোহেল রানার নাম ব্যবহার করে সভাপতির পদটি বাগিয়ে নেন।
পরদিকে, প্রকৌশলী তানবির আহম্মেদ ছাত্রজীবন থেকে মোগরাপাড়া এলাকার বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের সাথে উঠসব করেছেন। সে সময় থেকে তিনি সাবেক এমপি কায়সার হাসনাত ও উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদ মাহফুজুর রহমান কালামের ঘনিষ্ট অনেক নেতাকর্মীদের সাথে ছিলো সখ্যতা। এ সখ্যতার কারণে একবার হামলার শিকারও হয়েছিলেন। তানবির আহম্মেদ পেশায় একজন ব্যবসায়ী হলেও তিনি একজন প্রকৌশলীও। তিনি একজন প্রকৌশলী হলেও সে ছাড়া পরিবারের অন্য সদস্যরা বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকায় যুবলীগের নেতাকর্মীরা সহজ ভাবে সাধারণ সম্পাদক পদে তাকে সহজ ভাবে মেনে নিতে পারেনি।
এছাড়া পিরোজপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কমিটি ঘোষনা করার পর থেকেই এ কমিটি নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ তুলেন পদ বঞ্চিত যুবলীগের নেতারা। সে সময় জাকির হোসেন ও তানবির আহম্মেদ কেই কারো বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কোন অভিযোগ না তুললেও সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে ছিল পাহাড় সমান দুরত্ব। বিশেষ করে কান্দারগাঁও এলাকায় সোনারগাঁ ইকোনোমি জোনকে জমি কিনে দিতো জাকির হোসেন অপরদিকে প্রকৌশলী তানবির জমি কিনে দিতো মেঘনা গ্রুপকে। এনিয়ে কমিটি ঘোষনা করার আগ থেকে তাদের মধ্যে ছিল ব্যবসায়ীক দ্বন্ধ। যে কোন সভা-সমাবেশ কিংবা রাজনৈতিক কোন অনুষ্ঠানে যোগদানের সময় দুই নেতা ছিল দুই দিকে। যে যার মতো নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করে সভা-সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সমম্বয় হীনতার কারণে দু’ভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছে পিরোজপুর ইউনিয়ন যুবলীগ। ফলে নেতাকর্মীদের মাঝে বেড়েছে দুরত্ব আর দুরত্বেও কারণে দুর্বল হয়ে পড়েছে পিরোজপুর ইউনিয়ন যুবলীগ।
এ ব্যাপারে পিরোজপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আহম্মেদ তানবির জানান, তারা একটি আওয়ামী পরিবার, তাদের পরিবারে কেউ বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত নয়।