নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: নিজের লিজকৃত সম্পতি বুঝে নিতে গেলে আওয়ামীলীগ নেতাদের হামলায় আহত হয়েছেন আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে ২৭ মামলার আসামী চার বার কারা নির্যাতিত বিএনপি নেতা সেলিম সরকার। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সেলিম সরকার সংবাদ সম্মেলন করেছেন। রোববার সকালে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের নয়াপুর বাজারে এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে সেলিম সরকার জানান, তিনি সোনারগাঁ থানা বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক একই সাথে সাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়ন সহ-সভাপতি। তিনি বলেন, গত ২০১০ সালে সাদিপুর ইউনিয়নের বাজার সংলগ্ন এলাকায় বাংলাদেশ রেলওয়ের ৩৭ শতাংশ একটি জমি লিজ এনে ভোগ দখল করেছিলেন। ২০১২ সালে সেই জমিতে তিনি দোকান নির্মাণ করতে গেলে স্থানীয় আওয়ামলীগ নেতারা বাঁধা দেন। সে সময় তারা জোড় পূর্বক ভাবে সেলিম সরকারের জায়গাটি দখল করে কয়েকটি দোকান নির্মান করে তিন থেকে চার লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আতিকুল, শামীম খন্দকার, মনির হোসেন, আমিনুল, জসিম ও তাওলাদের একটি সিন্ডিকেট। গত ৫ তারিখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৬ তারিখে সেলিম সরকার মিথ্যা মামলায় জেল খেটে জামিনে এসে তার জমিটি দখল চেয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান আ:রশিদ দারস্থ হোন। চেয়ারম্যান আ: রশিদ কর্মস্থলে না থাকায় সেলিম সরকার তার ভাই ও ছেলেকে নিয়ে গত কয়েকদিন আগে উক্ত জমিতে ঘর নির্মাণ করতে গেলে আতিকুলসহ তার লোকজন বাঁধা প্রদান করে। এ পর্যায়ে আতিকুল সেলিম সরকারের লোকজনকে পিটিয়ে আহত করে। খবর পেলে সেলিম সরকার ঘটনাস্থলে গেলে আতিকুল ও তার লোকজন বিএনপি নেতা সেলিম সরকারকে শাবল দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে হাত ভেঙ্গে দেয়। এদিকে চতুর আতিকুল মামলার ভয়ে তার সিন্ডিকেটের লোকজনকে নিয়ে সেলিম সরকারকে বিএনপির চাঁদাবাজ আখ্যা দিয়ে সোনারগাঁ থানা, র্যাব-১১ ও সেনাবাহিনীর কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে সেলিম সরকার সত্যিকারের চাঁদাবাজ কিনা ও লিজকৃত সম্পতি তার নামে কিনা তার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে সেলিম সরকার আরো দাবি করেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পর সেলিম সরকার জামিনে মুক্ত হয়ে থানা বিএনপি সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের নির্দেশে নয়াপুর বাজারে নিজে পাহাড়ায় থেকে স্বর্নের দোকানসহ সকল প্রকার বন্ধ দোকানগুলো নিজ দায়িত্বে নেতাকর্মীদের নিয়ে খোলার ব্যবস্থা করেছেন এমনকি সাদিপুর ইউনিয়নে যত হিন্দু আছে তাদের নিরাপত্তা জন্য কাজ করেছেন। তিনি বলেন, আমার বাবা মৃত আলী আহম্মদ সরকার এই নয়াপুর বাজান প্রতিষ্ঠা করছেন। সেই বাজার প্রতিষ্ঠিত বাজারে আমি কখনো কারো কাছ থেকে বিনা পয়সায় এক কাপ চা পান করিনি অথচ আওয়ামীলীগের নেতারা আজও আমাকে চাঁদাবাজ আখ্যা দিয়ে আমাকে মেরে হাত ভেঙ্গে দেয়। আমি প্রশাসন ও আমার দলের নেতাদের কাছে এক সঠিক বিচার দাবি করছি।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম টিটু জানান,