নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম:
আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতকে হুশিয়ারী দিয়ে শামীম ওসমান বলেন, কায়সার আমার হাতে তৈরি করা কর্মী এবং এই পরিবারের সন্তান। আমি বিশ্বাস করিনা যে কায়সার এমন কোন কর্ম করবে যে কর্মের কারনে এদেশে রাজাকার আলবদর আলসামস উপকৃত হবে। আমি বিশ্বাস করিনা যে কায়সার এমন কোন কর্মকান্ড করবে যে বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীরা উৎসাহিত হবে। যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, সে তো কোন রাজাকার আলবদরের সন্তান নয়। আমি বিশ্বাস রাখছি ইনশাহআল্লাহ আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই দেখবেন আজকে যেমন খোকন সাহা, আনিসুর রহমান দিপু, কামাল, সামসু ভাই সহ সকলে যেমন সবাই আজকে মহাজোটের প্রার্থী, শেখ হাসিনার প্রতীক লাঙ্গলের পক্ষে যখন ঐক্যবদ্ধ হয়েছে তখন আমি আশা করছি আমার ভাতিজা কায়সার হাসনাতও এখানে এসে লাঙ্গলে প্রতীকে ভোট চাইবে। রোববার বিকাল উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আয়োজিত বিজয় র্যালী অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কায়সারকে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, আমি চাইনা আওয়ামীলীগ পরিবারের নেতাকর্মী আজীবনের জন্য বহিস্কার হয়ে যাক। আমি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত জানি। আর জানি বলেই এখানে সবাই কিন্তু পরিষ্কারভাবে একটি কথা বলে গেছেন। এ মুহুর্তে আমাদের কায়সারকে নিয়ে চিন্তা করার দরকার নাই। কারন কায়সার আমাদের অপজিশন প্রার্থী না।
শামীম ওসমান যুবলীগ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বলেন, কেউ যদি দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করেন তাহলে কমিটি ভেঙ্গে দেয়া হবে। আজীবনের জন্য বহিস্কার করা হবে। কোন ছাড় দেয়া হবে না। আর যদি কেউ মনে করেন বিএনপিকে সাহায্য করবেন, আমি পরিষ্কারভাবে বলে দিলাম এই নির্বাচন খোকার নির্বাচন না। এই নির্বাচন শেখ হাসিনার নির্বাচন। শেখ হাসিনার সন্তান আমরা বেচেঁ আছি। প্রয়োজনে আমার নির্বাচন ছেড়ে দিয়ে সোনারগাঁয়ে এসে নির্বাচন করব। দেখতে চাই কার কত মাথা আছে। কোন ছাড় দেয়া হবে না। এই লড়াই দেশ বাচাঁনোর লড়াই। এই লড়াইয়ে কোন পরিবারকে বেঈমানী করার সুযোগ দেয়া হবে না। ভাল করে বললাম ব্যবস্থা গ্রহণ করেন, নেত্রীর পক্ষে অবস্থান নেন। খোকা কোন সাবজেক্ট না। সাবজেক্ট একটাই শেখ হাসিনা ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু। এই সাবজেক্টের সাথে যদি কেউ পিছন থেকে ছুড়ি মারার চেষ্টা করে মনে রাখবেন নারায়ণগঞ্জের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির কাছে ঘৃণার পাত্র হয়ে যাবেন। পরে কিন্তু দরজা বন্ধ হয়ে গেলে ওই দরজা আর খোলা হবে না। এই মুহুর্তে ফাইনাল সিদ্ধান্তের কথা বললাম না। আশা করি সঠিক সিদ্ধান্ত নিবেন। ভুল হতে পারে সবারই। রাগ অভিমান থাকতে পারেনা। কিন্তু এমন কিছু করবেন না দেশের জন্য ক্ষতি হয়ে যায়। যারা সারাজীবন একটা পতাকার নিজে রাজনীতি করেছেন, শেখ মুজিবের আদর্শের পক্ষে রাজনীতি করেছেন, সেই সকল কিছু অম্লান করে দিবেন না। যেখানে মানুষের মুখের বুর্লি হতেন সেখানে কিন্তু মানুষের মুখের গালি হইয়েন না। জামাত শিবির রাজাকাররা উস্কানি দিবে। ওই উস্কানীতে কান দিয়েন না। সামনে থাকা কিছু লোক হয়তো বলবে আপনিই সব। ধান্ধা করবে টাকা খাবে। এদের সাফাইয়ে কান দিয়েন না। কয়দিন পর একা হয়ে যাবেন।