ধামগড়ের বহুল আলোচিত ও সমালোচিত ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান কামাল হোসেনের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের একটি আদালত। বর্তমানে সে জেলহাজতে রয়েছেন।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা ফেরদৌসের আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করলে শুনানি শেষে আদালত জামিন আমলে না নিয়ে নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের পেশকার শাকিল। তিনি বলেন, পুলিশের উপর হামলায় দেড় মাস আগে তার জামিন না মঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলো আদালত। দেড় মাস পলাতক থাকার পর আজকে এসে আত্ম সমর্পন করেছে। মাননীয় চীফ স্যারের কোর্টে জামিন আবেদন করলে জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার ৫ টি ইউপিতে নির্বাচনের শেষ দিনে ভোট গ্রহনের আগের দিন রাতে ধামগড় ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড থেকে ৪ নং ওয়ার্ড ৪ টি ভোট কেন্দ্রে দায়িত্ব নিয়োজিত জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক নুরু মিয়া, উপ পরিদর্শক সোহেল মোল্লা, সহকারি উপ পরিদর্শক আব্দুল হাই, কনস্টবল ওয়াসিম আকরাম ও কনস্টবল সাকিল আহম্মেদ। তারা প্রত্যেক কেন্দ্রে ঘুরে ঘুরে টহল ডিউটি করছিলেন। গত ১০ নভেম্বর রাত সাড়ে ১১ টার দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল হোসেনের নিজ বাড়ির কেন্দ্র জাঙ্গাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট কেন্দ্রে পুলিশ নৌকায় সীল মারার গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ডিবি পুলিশের টহল ডিউটির অবস্থান নিশ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল হোসেন ও তার বড় ভাই আজিজুল হকের নেতৃত্বে দেড় থেকে দুইশত জনের একটি দল রামদা, চাইনিজ কুড়াল, লোহার তৈরী লাঠিসোটা নিয়ে দুই কিলোমিটার এলাকা দৌড়ে এসে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের লাঙ্গলবন্দ এলাকায় পুলিশের বহনের নোয়া মাইক্রোবাসের ওপর হামলা চালিয়ে গাড়ি থেকে টেনে ছেঁচড়ে বের করে জবাই করে হত্যার জন্য পুলিশের গলায় ছুরি চালায় এবং মাথা থেঁতলে ৫ জনকে গুরুত্বর আহত করে তাদের অস্ত্র লুটে নেয়। এ খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল – খ) শেখ বিল্লাল হোসেন ও বন্দর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মহসিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।