নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার হাড়িয়া বৈদ্যপাড়া এলাকায় প্রায় দুইশত বছরের পুরাতন একটি পুকুর ভরাটের অভিযোগ উঠেছে ফারুক মিয়া ও তার সহযোগি আনোয়ার হোসেনসহ তাদের তৈরি একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, বৈদ্যপাড়া এলাকাবাসীর দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত দীর্ঘদিনের পুরাতন এই পুকুরটি ভরাট হয়ে গেলে বৃষ্টির পানি নিঃস্কাসনের অন্য কোন ব্যবস্থা না থাকায় দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতার শিকার হবেন তারা। এছাড়া পুকুরের পানি ব্যবহার করে দৈনন্দিন কাজের পাশাপশি বিভিন্ন সবজি ক্ষেতে ও ফসলি জমিতে সেচ দেওয়া একেবারেই বন্ধ হয়ে যাবে। যার ফলে ভবিষৎতে চরম ভোগান্তির শিকার হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন হাড়িয়া বৈদ্যপাড়ার বাসিন্দারা। অবৈধ সিন্ডিকেটের দখল ও ভরাটের কবল থেকে দুইশত বছরের পুরাতন এই পুকুরটি রক্ষায় হাড়িয়া বৈদ্যপাড়া এলাকাবাসী সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সোনারগাঁ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি বরাবর স্বারক লিপি প্রদান করেছেন।
বৈদ্যপাড়া গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, আমাদের এই গ্রামের দুইশত বছরের পুরাতন এই পুকুরটি প্রায় ৬০ শতাংশ। বাপ দাদার আমল থেকে আমরা ঘর গৃহস্থালি সব কাজের জন্য এই পুকুরের পানি ব্যবহার করে আসছি। বৃষ্টি হলে সবার বাড়ীর পানি এই পুকুরে জমা হয়। সুস্ক মৌসুমে পুকুরের পানি আমরা জমিতে সেচ দেওয়ার কাজে ব্যবহার করি। কোন দিন আমরা শুনি নাই এই পুকুর কারো ব্যক্তি মালিকানা। এখন এই পুকুরটি ভরাট করার জন্য একটি অবৈধ সিন্ডিকেট পায়তারা করছে। পুকুরটি ভরাট হয়ে গেলে গ্রামবাসী সবাই দীর্ঘস্থায়ী ভাবে জলাবদ্ধতার শিকার হব। আমরা কোন ভাবেই এই পুকুরটি ভরাট করতে দিবনা।
পুকুর দখল ভরাটের বিষয়ে জানতে চাইলে সোনারগাঁ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) গোলাম মুস্তাফা মুন্না বলেন, হাড়িয়া বৈদ্যপাড়া এলাকাবাসীর স্বারক লিপি পাওয়ার পর বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড সদস্যকে বিষয়টি তদারকি করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ণ পরিষদ সদস্য দেলোয়ার হোসেন বাবু জানান, সোনারগাঁ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি স্যারের নির্দেশ মোতাবেক আমি ভরাটে জড়িত ফারুক মিয়া ও আনোয়ার হোসেনকে নিষেধ করেছি। এছাড়া বৈধ কাগজপত্র ও দলিল পর্চা নিয়ে স্যারের সঙ্গে দেখা করার জন্য বলেছি। বর্তমানে ভরাট কাজ বন্ধ রয়েছে।