নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম:
সোনারগাঁ উপজেলার সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের নিরাপত্তার দাবিতে উপজেলা পরিষদ চত্বরের শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা।
বুধবার দুপুর ১২ টা থেকে ১টা পর্যন্ত ঘন্টা ব্যাপী সাংবাদিক পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের কাছে এ দাবি জানান হয়। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা প্রশাসনের উদ্দেশে বলেন, সোনারগাঁও থানার ১১ মামলার এজাহার নামীয় অভিযুক্ত আসামী ভূমিদস্যু মাছুম চৌধুরী ও মাদক কারবারি বুইট্ট কালামসহ তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্রসহ দ্রুত গ্রেফতার করার দাবি জানান। আগামী ৫দিনের মধ্যে যদি প্রশাসন ওই ভূমিদস্যূ ও মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করেন। তাহলে পরবর্তীতে স্থানীয় সাংবাদিকরা ভূমিদস্যু ও মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবস্থান করে মানববন্ধনসহ আরো কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে।
পরে সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের নিরাপত্তা দাবিতে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সোনারগাঁ থানার ওসির কাছে পৃথকভাবে লিখিত স্মারক লিপি প্রদান করেন।
উল্লেখ: সোনারগাঁও রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি, একাত্তর টেলিভিশনের ও দৈনিক মানবকন্ঠ পত্রিকার সোনারগাঁও প্রতিনিধি সাংবাদিক আবদুস ছাত্তারের ছোট ভাই সুরুজ্জামান প্রধানকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ১৭ মার্চ দুপুরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে মাসুম ও বুইট্টা কালাম ও তার বাহিনীর সদস্যরা। তাদের ধারালো অস্ত্রের কোপে সুরুজ্জামান প্রধান রক্তাক্ত জখম হন। এ ঘটনায় সাংবাদিক আবদুস ছাত্তার প্রধান বাদি হয়ে সোনারগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা জামিনে মুক্ত হয়ে এলাকা এসে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে মাসুম চৌধুরী ও বুইট্টা কালাম। মামলা তুলে নিতে প্রতিনিয়ত বাড়ির সামনে দিয়ে অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মোহরা দিচ্ছে তারা। এরপর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মাহফুজুর রহমান কালাম স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকে পরাজিত হয়েছেন। তার পর থেকে মাসুম চৌধুরী ও বুইট্টা কালাম নবনির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনের লালিত ক্যাডার হিসাবে সাংবাদিক আবদুস ছাত্তারের ও তার ছোট ভাই সুরুজ্জামান ও জহিরুল ইসলাম ও তার ভাই ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামসহ ৩ টি পরিবারের উপর হামলার প্রস্তুতি নেয় কয়েকবার। কিন্তু সোনারগাঁও থানা পুলিশ তৎপর থাকায় তারা পিছু হটে। পরে মাসুম চৌধুরী ও বুইট্টা কালাম প্রভাব বিস্তার করে একক সিদ্ধান্তে আবদুস ছাত্তার প্রধান ও তার ছোট ভাই সুরুজ্জামান ও জহিরুল ইসলাম ও তার ভাই ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামকে সামজচ্যুত করে দেয়। এতে মাসুম চৌধুরী ও বুইট্টা কালাম ক্ষ্যান্ত হয়নি। ওই পরিবারকে গ্রামছাড়া করতে নানা ষড়যন্ত্রের পায়তারা করছে সংঘবদ্ধ মাদক কারবারি চক্রের সদস্যরা। ইতিমধ্যে ভূমিদস্যু মাসুম চৌধুরী ও বুইট্টা কালাম সমাজচ্যুত ওই ৩ পরিবারের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর কাছ থেকে জোর পূর্বক গণস্বাক্ষর নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।