নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম:
গত ৬ এপ্রিল সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকার আফিয়া সিএনজি পাম্পের সামনে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত নবম শ্রেণীর ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস জয়ার বিচারের দাবিতে ১ঘন্টা মহাসড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় তারা জয়ার ঘাতক ট্রাক চালককে গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এ সময় মহাসড়কের দু’পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে সোনারগাঁ থানা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বিচারের আশ্বাস দিলেও এতে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিতে অস্বীকৃতি জানায় পরে বৃষ্টি নামলে তারা মহাসড়ক থেকে অবরোধ প্রত্যাহার করে চলে যান।
নিহত জান্নাতুল ফেরদৌস জয়া মোগরাপাড়া এইচ জি জি এস স্মৃতি বিদ্যায়তনের নবম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। সে মোগরাপাড়া ইউনিয়নের রতনদী গ্রামের দুবাই প্রবাসী জয়নাল আবেদীনের মেয়ে।
শিক্ষার্থীরা জানান, গত ৬ এপ্রিল সকাল বেলা বাড়ী থেকে রিক্সা যোগে স্কুলে যাচ্ছিল। এসময় ঢাকা থেকে আসা চট্টগ্রামগামী একটি ট্রাক পিছন দিক দিয়ে জয়ার রিক্সাটাকে ধাক্কা দেয়। এতে রিক্সা চালক ও জয়া মারাত্মক আহত হয়। আহত জয়াকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চার দিন চিকিৎসা পর গত শনিবার বিকালে মারা যায়। তারা আরো জানায়, জয়া মৃত্যুর চার দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও প্রশাসন ঘাতক ট্রাক ও চালককে আটক করতে পারিনি। যতক্ষন না পর্যন্ত প্রশাসন ট্রাকটির চালককে আটক করতে না পারবে ততক্ষন আমরা মহাসড়ক ছেড়ে যাব না। এছাড়া সরকার বলেছে আমাদের জন্য একটি নিরাপদ সড়ক উপহার দিবে কিন্তু সরকার আমাদের নিরাপদ সড়ক উপহার দিতে পারেনি। আমাদের দাবি দ্রুত জয়া হত্যার বিচার ও আমাদের চলাচলের একটি নিরাপদ সড়ক।
এদিকে, খবর পেয়ে সোনারগাঁ থানা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বিচারের আশ্বাস দিলেও শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে বৃষ্টি চলে আসায় তারা মহাসড়ক ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে মহাসড়কের দু’পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চরম ভোগান্তীতে পড়ে এ পথে চলাচলারত কয়েক হাজার যাত্রী।
এ ব্যাপারে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি ( তদন্ত) আলী রেজা জানান, স্কুল ছাত্রী জয়া হত্যার বিচার দাবিতে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করেছে। এসময় আমরা বলেছি জয়া সড়ক দূর্ঘটনার শিকার হয়েছে এরকম কোন তথ্য জয়ার পরিবার থেকে আমাদের জানানো হয়নি। এমনকি থানায় কোন অভিযোগও দেয়নি। আমরা শিক্ষার্থীদের বলেছি জয়ার পরিবার থেকে অভিযোগ দিলে আমরা অবশ্যই দোষী গাড়ীর চালককে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসবো।