নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম: গত ২ দিন ধরে মোগরাপাড়া চৌরাস্তার গ্রান্ডট্যাংক রোডে অবৈধ অটোরিক্সা না থাকায় যানজটমুক্ত ছিল রাস্তাঘাট। ফলে কোন ভোগান্তী ছাড়াই পথচলছে পথচারীরা। যদিও এর আগে কয়েকদিন সোনারগাঁ থানা পুলিশের নজরদারী থাকায় মাস খানেক কিছুটা যানজটমুক্ত থাকলে গত একমাস ধরে আবারো পুরোনো রূপে ফিরে আসে। গতকাল রোববার থেকে থানা পুলিশের নির্দেশ না মানার কারনে মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় কোন অটোরিক্সা রাখতে দেয়নি পুলিশ।
জানাগেছে, সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা সবচেয়ে ব্যস্ততম এলাকা। এ এলাকাকে ঘিরে সকল ব্যবসা বানিজ্য, স্কুল কলেজ ও সরকারী বে-সরকারী অফিস আদালত গড়ে উঠেছে। এছাড়া সোনারগাঁয়ে যে তিনটি ইকোনোমিক এলাকা ঘোষনা করেছে সরকার তাও এ চৌরাস্তার আশপাশের এলাকাতেই। সোনারগাঁয়ে অবকাঠামো উন্নয়নের সব কিছুই এ এলাকা কেন্দ্রীক। ফলে ধীরে ধীরে এ এলাকায় দেশের বিভিন্ন এলাকার লোকজন বসবাস করতে শুরু করায় বর্তমানে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা একটি ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় রূপ নিয়েছে। জনসংখ্যা ও অবকাঠামো উন্নয়নের ফলে এখানে বেড়েছে যাত্রী পরিবহনের জন্য বিভিন্ন প্রকার যানবাহনও। এছাড়া মোগরাপাড়া চৌরাস্তা দিয়ে যেতে হয় উপজেলা, থানা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। শুধু সোনারগাঁই নয় মেঘনা, আড়াইহাজারসহ কয়েকটি আশাপাশের উপজেলার লোকজনও এ পথে যাতায়াত করে। ফলে উপজেলা অন্য এলাকার তুলনায় মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় পরিবহনের সংখ্যা অনেক বেশী। স্বাধীনতার পর এ রাস্তাটি প্রশস্ত না করায় একই রাস্তা যেখানে কয়েকশত মানুষ চলাচল করতো সেখানে এখন কয়েক লাখ লোক চলাচল করে। এছাড়া প্রশাসনে নজরদারী না থাকার কারণে অনুমোদিত পরিবহনের পাশাপাশি অবৈধ পরিবহন বেড়ে যাওয়ার কারণে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এখানে লেগে থাকে অসহনীয় যানজট। এছাড়া বৈদ্যেরবাজার এলাকায় আমান ইকোনোমিক জোন ও মেঘনা গ্রুপ পাওয়ার স্ট্রেশন তৈরী করায় প্রতিদিন কয়েকশত ভারী যানবাহন এ পথে চলাচল করে। এতে প্রতিদিনই ভোগান্তীতে পড়তে হয় এলাকার বসবাসরত জনসাধারণ ও এ পথে চলাচলরত যাত্রীদের। এখানকার যানজট নিরসনে উপজেলা প্রশাসনকে বহুবার লিখিত -মৌখিক ও আইনশৃঙ্খলার মিটিংয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বলার পরও তারা কোন পদক্ষেপ নিতে পারিনি। সোনারগাঁয়ের সংসদ লিয়াকত হোসেন খোকাও কয়েকবার যানজট নিরসনে কাজ করেও কোন ফল হয়নি। অবশেষে সোনারগাঁ থানা পুলিশের উদ্যোগে যানজট নিরসনে কয়েকটি পদক্ষেপ নেয়। এতে গত রমজান থেকে ২মাস কিছুটা যানজট নিরসন হলেও অবৈধ অটোরিক্সা রাস্তার দুপাশে দাড় করিয়ে যাত্রী উঠানামার কারনে প্রতিদিনই যানজট তৈরী হয়।
তবে যাত্রীরা অভিযোগ করেন, আমাদের চলাচলের জন্য পরিবহনের প্রয়োজন আছে কিন্তু যে ভাবে অবৈধ অটোরিক্সা এ রোডে বেড়েছে তা যাত্রীর তুলনাই বেশী। প্রশাসন এদিকে খেয়াল না দেয়ায় যে যার ইচ্ছামতো অটোরিক্সা নামিয়ে যাত্রী পরিবহন করছে। গাড়ীর তুলনায় যাত্রী কম হওয়ায় ৬জন যাত্রীর জায়গায় ২/৩ যাত্রী হলেই তারা সন্তুষ্ট থাকছে। এছাড়া অতিরিক্ত অটোরিক্সা হওয়ার ফলে গাড়ী রাখার জায়গা না থাকায় রাস্তার দুপাশে রেখে যানজট সৃষ্টি করছে। তারা জানান, অবৈধ অটোরিক্সার ব্যাপারে প্রশাসনকে নজর রাখতে হবে যাতে যে যার যার ইচ্ছা মতো রাস্তায় নামাতে না পারে। এজন্য প্রশাসন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও তাদের অনুমোদন বাধ্যতামুলক করতে পারে।