নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকমঃ সোনারগাঁ উপজেলায় এক নারী জামদানী কারীগরকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নারী কারীগরের বাবা বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটা মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলা কাঁচপুর ইউনিয়নের পূর্ব বেহাকৈর এলাকায় আঃ রহমানের বাড়ির ভাড়াটিয়া জসিম উদ্দিন তার পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছে। তার মেয়ে পার্শ্ববর্তি ইউসুফ আলী ও নুরুল ইসলামের বাড়িতে জামদানি বুননের কাজ করতো। কাজ করার সুবাদে ইউসুফ আলী বিভিন্ন কথা বলে ফুসলিয়ে, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নুরুল ইসলামের সহায়তায় গত এক বৎসর যাবত বিভিন্ন সময় ও তারিখে ধর্ষণ করে আসছে। ধর্ষণের ফলে মেয়েটি তিন মাসের অন্তঃস্বত্বা হয়ে পড়লে সে তার পরিবারকে জানায়। ধর্ষিতার পরিবার আসামী ইউসুফকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করে। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে বিবাদী নুরুল ইসলাম ও ইউসুফকে বাঁচাতে এলাকার কতিপয় প্রভাবশালীরা ধর্ষিতার পরিবারকে মামলা না করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে এবং বিচার সালিশের মাধ্যমে মিমাংসা করার আশ্বাস দিয়ে ধর্ষিতাকে বিবাদী নুরুল ইসলামের বাড়িতে আটকে রেখে পেটের বাচ্চা নষ্ট করে ফেলে। খবর পেয়ে ধর্ষিতার বাবা জসিম উদ্দিন আহত অবস্থায় তার মেয়েকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে সোনারগাঁ থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল বিবাদী ইউসুফ আলীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ধর্ষণের ঘটনায় থানায় একটি মামলা নেওয়া হয়েছে। আসামী ইউসুফ আলীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অপর আসামীকে গ্রেফতাদের জন্য চেষ্ঠা চালাচ্ছে পুলিশ।