নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম: ঈদুল আজহার আর বাকি মাত্র এক সপ্তাহ। এরই মধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার ঐতিহাসিক আনন্দবাজারসহ কয়েকটি হাটে আসতে শুরু করেছে কোরবানির গরু। তবে এখনো কোনো বেচাকেনা নেই। মাঠ দখল করা এবং পশুর বাড়তি যত্ন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের ঐতিহাসিক আনন্দবাজার হাটসহ কয়েকটি হাটে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এবার ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে উপজেলার মোট ১৬ টি পশুর হাট বসবে। ক্রেতা-ব্যবসায়ীদের আকৃষ্ট করতে এরই মধ্যে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন হাটের ইজারাদাররা। সোনারগাঁয়ের ১৪টি কোরবানির পশুর হাটের মধ্যে ১৪টি অস্থায়ী পশুর হাট ২ স্থায়ী পশুর হাট।
সরেজমিনে আনন্দবাজার পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গরু নিয়ে আসছেন বেপারীরা। নাটরের ফজর আলী কমিশনার বলেন, ‘কিছুদিন পর রাস্তায় যানজট বেড়ে যাবে। বিপুল পরিমাণ গরু আনা হয় বলে সুবিধা মতো স্থানে গরু রাখা যায় না। তাই আগে ভাগেই গরু নিয়ে এসেছি। এখন পছন্দ মতো জায়গা পাওয়া যাবে। তবে কোনো গরু বিক্রি হচ্ছে না। কেউ কেউ তাঁদের হাটে নিয়ে আসা গরু বা ছাগলকে গোসল করাচ্ছেন।
ফজর আলী কমিশনার আরো বলেন, ‘আমার কাছে যে গরু আছে তার বেশির ভাগেরই দাম ৮০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা। আনন্দবাজার হাটে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বেপারীরা গরু নিয়ে আসছেন, বিশেষ করে রাজশাহী , যশোর, সুনামগঞ্জ, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, দিনাজপুরসহ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো থেকে। বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে মেম্বার মোঃ বাসেদ মিয়া আনন্দবাজার হাটের ইজারাদার জানান, বুধবার থেকে শনিবার দিন রাত ৪ দিন হাটে পশু বিক্রয় করা হবে। হাটে নিরাপত্তায় থাকবেন পুলিশ প্রশাসন ও বলেনটিয়ার। সীমিত হাড়ে আসলি নেওয়া হবে। শতকরা ৩ টাকা সরকারি রেট।