নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম: ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি আমান্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় দু’পক্ষই পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করেছেন। প্রথমে আমান্তিকার স্বামী পিন্টু মিয়া বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ডাক্তার নুরজাহানকে প্রধান আসামী করে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে এ মামলাটি করা হয়। অপর মামলাটি করেন সোনারগাঁ জেনারেল হাসপাতালের মালিক মানসুরা ভাই সৈয়দ শরিফউদ্দিন। তিনি মামলায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরো কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি ভাংচুর মামলা দায়ের করেন।
সোনারগাঁ থানা পুলিশ জানান, গত শুক্রবার বিকালে তার স্ত্রী আমান্তিকার প্রসব ব্যাথা উঠলে মোগরাপাড়া চৌরাস্তার সোনারগাঁ শপিং কমপ্লেক্সের ৩য় তলায় সোনারগাঁ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালে কর্তব্যরত গাইনি ডাক্তার নুরজাহান তাকে সিজার করতে হবে জানান।সন্ধ্যা ৬টার দিকে আমান্তিকাকে সিজার করেন এবং একটি কন্যা সন্তানের জম্ম দেন। এরপর ডাক্তার নুরজাহার তাড়াহুড়ো করে আরেকটি অপারেশন আছে বলে সাথে থাকা নার্সকে সেলাই করার জন্য নির্দেশ দিয়ে তিনি হাসপাতাল ত্যাগ করেন।
এদিকে, সেলাইয়ের পর রাত যত বাড়তে থাকে অমান্তিকার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তার পেট ব্যাথাসহ কয়েকবার বমি করেন। পরে হাসপাতালের নার্সরা অমান্তিকা শারীরিক অবস্থার কথা ডাঃ নুরজাহানকে জানালে তিনি শনিবার সকালে আমান্তিকাকে নারায়ণগঞ্জ কেয়ার হাসপাতালে নিতে বলেন। সেখানে নিয়ে গেলে অমান্তিকাকে ২য় দফা অপারেশন করেন নুরজাহান। অপারেশন শেষে আমান্তিকার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হলে রোগীর স্বজদের জানানো হয় রোগীর কিডনিতে সমস্যা আছে তাকে দ্রুত ঢাকা আজগর আলী হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। শনিবার রাতেই স্বজনরা রোগীকে আজগর আলী হাসপাতালে নিয়ে গেলে সোমবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আমান্তিকার স্বামী পিন্টু মিয়া বাদি হয়ে ডাঃ নুরজাহানকে প্রধান আসামী করে হাসপাতালের মালিকসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে, আমান্তিকা মারা যাওয়ার পর তার স্বজনরা হাসপাতাল ভাংচুর চালায়। এ ঘটনায় হাসপাতালের মালিক মানসুরার ভাই সৈয়দ শরিফউদ্দিন বাদি হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।