নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম: গত সোমবার রাতে উপজেলা সনমান্দি ইউনিয়নের লেদামদী গ্রামে হত্যা মামলার বাদির ঘরে আগুন দেয়ার ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাহাসিন নামের এক ব্যক্তি বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ২০জনকে আসামী করে এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার বাদি তাহাসিন জানান, উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের লেদমদী গ্রামের মাহবুব মিয়া চাকরির পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে জমি জমার ব্যবসা করতেন। গত বছরের ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর মাহবুরের কাছে দাবিকৃত চাদাঁ না পেয়ে পাশ্ববর্তী টেমদী গ্রামের বাসিন্দা রুবেল মিয়া, দেলোয়ার হোসেন, আমির হোসেন, মোমেন মিয়া, কবির হোসেন, রবিন মিয়া, আবু হানিফ, ও আল আমিনসহ ১০/১২ জনের একদল সন্ত্রাসীরা বাহিনী রামদা, টেটা ও রড দিয়ে তার স্বামী মাহবুবুর রহমানকে এলোপাথারিভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে দু’পা ভেঙ্গে মারাত্বক ভাবে জখম করে পালিয়ে যায়।
পরে তার স্বামীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কয়েকটি বেসরকারী হাসপাতালে দীর্ঘ আট মাস চিকিৎসা পর ঢাকার একটি বেসরকারী হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিসিইউতে) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
এ ঘটনায় ইছহাক মিয়া বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করায় গতকাল মঙ্গলবার সকালে এছহাক মিয়া, তার ভাই হারুন মিয়া, জাকির হোসেন, মাসুম মিয়া, কবির হোসেন, মোমেন মিয়া, আবু হোসেন, হানিফ মিয়া, মিলন মিয়া, জাফর হোসেন, আলমগীর মিয়া, মজিবুর রহমান, রমজান হোসেন, আনন্দ বাজার এলাকার ভাড়াটে সন্ত্রাসী ইলিয়াস মিয়া, আমজাদ হোসেন, মুছাচর এলাকার গিয়াস উদ্দিন ও আমিজ উদ্দিনের নেতৃত্বে ৫০/৬০ জন সন্ত্রাসী বাহিনী রামদা, টেটা, বল্লম, চাইনীজ কুড়াল, হকিস্টিক সহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালিয়ে ও কয়েকটি বোমা ফাটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে লেদামদী গ্রামের ব্যবসায়ী শফিউল্লার বসত ঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। আগুনে ধান, চাল, নগদ টাকা, স্বর্ণলংকার ও অনন্য মালামাল সহ প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন হয়।