নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম: সোনারগাঁ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের বিষ্ণাদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের উপর হামলার ঘটনায় ১০দিন পর মামলা নিয়েছে সোনারগাঁ পুলিশ। দীর্ঘ ১০দিন গড়িমসি করে শেষ পর্যন্ত এ মামলা নিতে বাধ্য হয় পুলিশ। আজ ৩০ নভেম্বর শনিবার সকালে সোনারগাঁ থানায় এ মামলা রুজু হয়। ১০ দিন পর গড়িমসি করে মামলা নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মরত শিক্ষকরা।
সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা মামলার এজহার থেকে জানা যায়, উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের বিষ্ণাদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ্ববর্তী স্থানে স্থানীয় যুব সমাজের উদ্যোগে এক ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ওয়াজ মাহফিলের জন্য বিদ্যালয়ের মাঠে প্রায় ৫০টিও অধিক দোকান বসায় ওই এলাকায় বখাটে ইলিয়াস মোল্লা ও নুরুল ইসলাম। বিষয়টি ওই স্কুলের পরিচালনা কমিটির সভাপতি আনিছুজ্জামান মুকুল ও এলাকায় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের জানিয়ে স্কুল মাঠ থেকে ওই দোকানগুলো সরিয়ে দেয় ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. খোরশেদ আলম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২০ নভেম্বর দুপুরে ওই এলাকার সাহেব আলীর ছেলে ইলিয়াস মোল্লা ওরফে ইব্রাহিম মোল্লা, ওসমান মিয়ার ছেলে নুরুল ইসলাম, নিলুফা সহ ৫-৭জনের একটিল লাঠিসোটা নিয়ে স্কুলে প্রবেশ করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. খোরশেদ আলম ও সহকারী শিক্ষক মনিরা সুলতানাকে পিটিয়ে আহত করে। পরে আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আহত মো. খোরশেদ আলম জানান, ইলিয়াস মোল্লা টাকার বিনিময়ে স্কুলের কাউকে না জানিয়ে স্কুলের মাঠে ৫০টিও অধিক দোকান বসিয়েছে। এতে করে স্কুলের ক্লাস নেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। এ বিষয়টি পরিচালনা কমিটিকে জানিয়ে স্কুলের পক্ষ থেকে দোকানগুলো সরিয়ে দেয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে ও এক শিক্ষিকাকে পিটিয়ে আহত করে। এ বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে জানিয়েছি। এর আগেও ইলিয়াস মোল্লার ইভটিজিংয়ের কারনে এ স্কুলের ু’জন মহিলা শিক্ষক অন্যত্র বলি হয়ে চলে যান। বিষয়টি পরিচালনা কমিটির সকলেই অবগত রয়েছেন।
সোনারগাঁ উপজেলা প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মিয়া বলেন, দুই শিক্ষকের উপর হামলার ঘটনাটি খুবইুঃখজনক। দীর্ঘ ১০দিন পর মামলা গ্রহনের বিষয়টি রহস্যজনক। আসামীদের আইনের আওতায় এসে সঠিক বিচার দাবি করছি।
সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, শিক্ষকের উপর হামলার ঘটনায় মামলা গ্রহন করা হয়েছে। তদন্তে ধীরগতি থাকায় মামলা নিতে দেরি হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে।