নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: কয়েকদিন পর পর সড়ক ও জনপথ এবং কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের উচ্ছেদে ভাঙ্গা গড়ার মাঝে আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই শতাধিক ফুটপাতের ববসায়ীরা।
জানাগেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর থেকে মেঘনা শিল্পাঞ্চল বাসষ্ঠ্যান্ড পর্যন্ত মহা সড়কের ফুটপাত দখল করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে কয়েক শত ব্যবসায়ী। জীবিকার তাগিয়ে স্থানীয় নেতাদের মাসিক মাসোহারা দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা। জীবিকার তাগিদে রোদ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে মাতার ঘাম পায়ে ফেলে তারা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন এসব ব্যবসায়ীরা। যাদের বেশীর ভাগই হতদারিদ্র। জীবিকার তাগিয়ে কেউ ফলের দোকান, ভাঙ্গারীর দোকান, কাপড়ের দোকান, পেট্রোল মবিলের দোকান, ফানিচারের দোকান খাবারের দোকানসহ কয়েকশত অবৈধ দোকান পরিচালনা করে আসছেন। এসব দোকানগুলো সড়ক ও জনপথ এবং কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ কতোদিন পর পর ভেকু ও ভোলডোজার ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। তাদের উচ্ছেদের কয়েক ঘন্টার মধ্যে ফের ব্যবসা নিয়ে বসেন এসব ব্যবসায়ীরা। ফলে যে লাউ সেই কদু। কোন পরিবর্তন নেই ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের শুধু পরিবর্তন হয় সার্বিক আর্থিক ক্ষতির।
ফুটপাতের ব্যবসায়ী শাহীন আলম জানান, আমরা গরীর মানুষ টাকার অভাবে মার্কেটে দোকান নিতে পারিনা। পরিবারকে বাঁচার জন্য ফুটপাতে দোকান দিয়ে বসি। সেজন্য প্রতিদিন গড়ে চাঁদা দিয়ে থাকি। কিন্তু উচ্ছেদের কারণে আমাদের দোকানপাট কিছুদিন পর পর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয় সরকারী লোকেরা। তারা ভেঙ্গে দেয়ার পর আবার নতুন করে দোকান নির্মান করতে হয়। রতৃন দোকান করতে আমাদের অনেক টাকা খরচ করতে হয়। এতে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হই।
সড়ক ও জনপথের কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম ঝানজটমুক্ত করতে আমরা ফুটপাত কয়েকদিন পর পর উচ্ছেদ করতে হয়। একদিকে আমরা উচ্ছেদ করি অন্যদিকে অবৈধ দোকানপাট তৈরী হয়ে যায়।