নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম: সোনারগাঁ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা আম, জাম ও পেয়ারাসহ অন্যান্য ফলজ ও বনজ গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে নদীতে মাছ শিকারের ফাঁদ অবৈধ মাছের ঝোপে। ফলে এদিকে যেমন বিনীত হয়ে যাচ্ছে ফলজ ও বনজ গাছ অপরদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পবিবেশের ভারসাম্য আর অবৈধ ঝোপের কারনে মাছ শুন্য হচ্ছে নদীগুলো। এতো ক্ষতির পরও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বলেছেন তাদের কিছুই করার নেই।
বর্ষাকালের শেষের দিক হাওর, জলাশয়, খাল বিলের পানি নেমে যাওয়ার সময় কিছু অবৈধ মুনাফা লোভী লোক মেঘনা, ব্রক্ষ্মপুত্র ও ধলেম্বরী নদী ও বড় বড় খালের স্রোত নামার স্থানগুলোতে যেখানে মাছেরা বি¯্রামের জন্য বেছে নিয়ে সে সব জায়গাগুলোতে নিদিষ্ট জায়গা দখল করে গাছের ঢালপালা ও কচুরীপানা দিয়ে একটি ঘের তৈরী করে। সেখানে বিভিন্ন ধরনের খাবার দিয়ে নদীতে থাকা মাছগুলোতে সেই ঘেরের মধ্যে নেয় এবং একটি নিদিষ্ট সময় পর্যন্ত সেখানে তারা মাছ আটকানোর বিভিন্ন ফন্দি আটে। এ ফন্দির জন্য আম, জাম ও পেয়ারাসহ আরো বিভিন্ন পদের গাছের ঢাল ব্যবহার করা হয়। বর্ষার শেষ সময় আগষ্ট মাস আসলে এসব অবৈধ মাছ ঝোপ ব্যবসায়ীরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ফলজ ও বনজগাছগুলো গাছ মালিকদের কাছ থেকে কিনে নিয়ে নৌকা ও ট্রলার বোঝাই করে গজারিয়া, আড়াইহাজার, মেঘনাসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নিয়ে মাছের ঝোপ তৈরী করে। গাছের মালিকরাও বেশী মুনাফা লাভের আশায় তাদের ফলজ ও বনজগাছগুলো ঝোপ ব্যবসায়ীদের কাছ বিক্রি করে দেয় । এতে করে উপজেলার পৌরসভাসহ বিভিন্ন এলাকায় ফলজ ও বনজ গাছ শুন্য হয়ে পড়েছে। অপরদিকে বিনীত হয়ে যাচ্ছে ফলজ ও বনজ গাছ ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পবিবেশের ভারসাম্য আর অবৈধ ঝোপের কারনে মাছ শুন্য হচ্ছে নদীগুলো। উপজেলা প্রশাসনের চোখের সামনে প্রতিদিন গড়ে ৫/৬টি নৌকা বোঝাই করে গাছের ঢালপালা নৌকায় করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়ার পর তারা কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো। তারা বলেন, ফলজগাছ গুলো যেভাবে কেটে নিয়ে গিয়ে নদীতে অবৈধ ঝোপ তৈরী করছে এতে আমরা কিছুদিন পর দেশীয় ফলফলাদির অভাবে পরবো অপরদিকে, গাছ কেটে ফেলার কারনে বিরুপ প্রভাব পড়বে পরিবেশের উপর। এছাড়া নদীগুলো অবৈধ ঝোপগুলোর কারনে নৌযান চলাচলে যেমন অসুবিধে হচ্ছে তেমনি মাছ শুন্য হয়ে পড়ছে নদী ও খালবিলগুলো।
এ ব্যাপারে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার জানান, যারা নদীতে ঝোপ তৈরী করে তারা এতো ক্ষমতাধর যে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই। এছাড়া মানুষ যদি তাদের গাছ বিক্রি করে দেয় এতে আমাদের কি করার আছে।
এ ব্যাপারে কৃষি কর্মকর্তা মনিরা আক্তার জানান, এটি আমাদের দেখার বিষয় না। উপজেলা প্রশাসন যদি আমাদের দায়িত্ব দেন তাহলে আমরা বিষয়টি ভেবে দেখবো।