নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম:
রাত পোহালে ঈদ। ঈদকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে সোনারগাঁয়ের বাহিরে থাকা লোকজন সোনারগাঁয়ে ফিরে এসেছেন নারীর টানে ঈদ করতে। ঈদকে কেন্দ্র করে ঈদের দিনের জন্য প্রয়োজনীয় কেনাকাটা ও অন্যান্য কাজকর্ম সারতে ঘর থেকে বের হচ্ছেন লোকজন। আর এ সুযোগে ঈদ বোনাসের নামে পরিবহনের চালক ও মালিকরা ভাড়া বানিয়েছেন কয়েকগুন। বিশেষ করে লোকাল বাস ও সিএনজিতে এ নিয়ে শুরু হয়ে নৈরাজ্য। বেশী ভাড়া গুনতে গিয়ে অনেকের সাথে চালক ও হেলপারদের সাথে হচ্ছে কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতির মতো ঘটনা।
আগামীকাল বুধবার মুসলমানদের ধর্মীয় বড় উৎসব ঈদুল আজহা। ঈদকে ঘিরে জীবিকার তাগিয়ে সোনারগাঁয়ের বাহিরে থাকা লোকজন ফিরছেন তার নিজের বাড়িতে। তাই ঈদুল ফেতরের চেয়ে এবারের ঈদে ব্যস্ততা একটু বেশী। রয়েছে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পশু কোরবানী করার মতো একটি বড় এবাদতের কাজ। এছাড়া অনেকে ছুটছেন কিছু কেনাকাটার জন্য। এ সুযোগে এক শ্রেণীর অসাধূ বাস মালিক, শ্রমিক ও সিএনজি চালকরা সুযোগ বুঝে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কয়েকগুন বেশী ভাড়া নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। বিশেষ করে গজারিয়া উপজেলা থেকে সোনারগাঁয়ে কেনাকাটা করতে আসা লোকজন বেশী ভোগান্তীতে পড়েছে। এছাড়া মোগরাপাড়া বাসষ্ট্যান্ড থেকে বৈদ্যেরবাজার ও আনন্দবাজার গামী যাত্রীরা ভোগান্তীতে পড়েছেন। যেখানে মোগরাপাড়া থেকে গজারিয়ার ভাড়া ১০ টাকা সেখানে বাস চালকরা নিচ্ছেন ৫০টাকা। অপরদিকে, মোগরাপাড়া সিএনজি ষ্ট্যান্ড থেকে আনন্দবাজার এলাকার ভাড়া ২০ টাকা সেখানে নেওয়া হচ্ছে ৪০ টাকা হতে ৫০ টাকা।
যাত্রীরা অভিযোগ করেন, মোগরাপাড়া বাসষ্ট্যান্ড থেকে গজারিয়ার আনারপুরের বাড়া ১০ টাকা সেখানে বাস চালকরা নিচ্ছেন ৫০ টাকা। বৈদ্যেরবাজারের যাত্রীরা জানান, মোগরাপাড়া থেকে বৈদ্যেরবাজার সিএনজি ভাড়া ১৫ টাকা সেখানে নেওয়া হচ্ছে ৩০ টাকা। চালকের এক কথা গেলে চলেন না গেলে না গেছে না যান।
এ দিকে, পরিবহনের চালকরা জানান, ঈদকে কেন্দ্র করে প্রতি বছরের ন্যায় আমরা কিছু বেশী ভাড়া নিচ্ছি। মালিকরা তো আমাদের কোন বোনাস দেয়না সেজন্য ভাড়া বাবদ কিছু টাকা বেশী নিয়ে চালক ও হেলপাররা সে টাকা ভাগাভাগি করে নেই।