নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফার ডটকম: আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সোনারগাঁ উপজেলায় গত ঈদ উল ফিতরের দিন থেকে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চারটি পৃথক ঘটনায় চারজনকে কুপিয়ে মারাত্মক জখমসহ ১৩জন আহত হয়েছেন। মারাত্মক আহত ৪জনকে কে প্রথমে সোনারগাঁ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় পৃথক মামলা দায়ের পর দুইজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে সোনারগাঁ থানা পুলিশ।
জানাগেছে, পূর্ব শত্রুতার জের ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঈদের দিন মাগরিবের নামাযের সময় মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ইয়ালদী গ্রামে খোরশেদ বাবুল নামের এক বেসরকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপককে কুপিয়ে আহত করে পাশ্ববর্তি জাইদের গাঁও গ্রামের জসিমের ছেলে হালিম, ডালিম, মুজা, বিল্লাল, ফয়সাল, হৃদয় ও জসিম। আহত বাবুলকে প্রথমে সোনারগাঁ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঈদের পর বিকেলে সোনারগাঁ জাদুঘরে মুল ফটকের সামনে ইছাপাড়া গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে সাজিদ আহম্মেদকে কুপিয়ে জখম করে স্থানীয় সুজন, আলমগীর, মো. জীবন, তালহা ও মিজান নামের কয়েকজন সন্ত্রাসী। এ ঘটনায় সাজিদকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে, ঈদের দিন বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গিয়ে কাইকারটেক ব্রিজে ছুরিকাঘাত হোন উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মামুনের ছোট ভাই সুমন। মারাত্মক আহত সুমনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অপরদিকে, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সোনারগাঁ উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের মহেশ্বরদী গ্রামের দুই পক্ষের মধ্যে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ১০জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় মিজান ও স¤্রাট নামের দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাফিজুল রহমান জানান, প্রতিটি বিচ্ছিন্ন ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর দুই জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।