নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: করোনা ভাইরাসের প্রথম ধাপ শেষ হওয়ার পর শীত আসার সাথে সাথে ফের বাড়তে শুরু করেছে করোনার ২য় ধাপ। শীত আসার সাথে সাথে করোনার প্রভাব বাড়তে শুরু করেছে। সারা দেশের ন্যায় সোনারগাঁয়ে বাড়ছে করোনার প্রভাব। সেজন্য সরকার শীত আসার আগ থেকেই সবাইকে সচেতন থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে এ সময়টাতে সবাইকে মাস্ক পরার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন নো মাস্ক সার্ভিস। তারপর সচেতনতা নেই মানুষের মাঝে। কিছু সচেতন মানুষ বাহিরে মাস্ক ব্যবহার করলেও বেশীর ভাগ মানুষই পড়েন না মাস্ক। ফলে করোনার ঝুকি দিনে দিনে বেড়ে চলছেই। এদিকে, দেশের বিভিন্ন স্থানে মাস্ক না পরার অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করলেও সোনারগাঁয়ে নেই এর কার্যক্রম। ফলে মানুষ ইচ্ছা করেই পড়ছেন না মাস্ক। এতে বেড়েই চলছে করোনার ভাইরাসের ঝুঁকি।
সুত্র জানায়, চলতি বছরের মার্চ মাসে শুরু হয় করোনার প্রভাব। করোনা প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে সারা দেশে লকডাউন দেয় সরকার। তারপর করোনার প্রাদূর্ভাব বাড়তে থাকে এভাবে কয়েক মাস অতিবাহিত হওয়ার পর গত ২/৩ ধরে করোনার প্রাদুর্ভাব কিছুটা কমতে শুরু করে। তবে শীত শুরু হওয়ার সাথে সাথে ফের বাড়তে থাকে করোনা প্রাদুভার্ব যা সোনারগাঁয়েও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সেজন্য সরকার শীত শুরু হওয়ার আগ থেকেই সাধারণ মানুষকে সর্তক করে আসছে। সেজন্য সবাইকে বাধ্যতামুলক মাস্ক ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে আসছে। কিন্তু সরকারের নির্দেশনা থাকার পরও হাটে বাজারে ও অন্য কাছে বাহিরে আসা লোকজন মানছেনা সরকারের সেই নির্দেশনা। এ দিকে স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারী না থাকার কারণে দিনে দিনে বাড়ছে সাধারণ মানুষের মাস্ক না পড়ার প্রবনতা। ফলে দিন যত যাচ্ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রবনতাও বাড়ছে।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পলাশ ডা: কুমার সাহা জানান, সরকার আগেই নির্দেশনা দিয়েছে শীতের দিকে করোনার প্রভাব কিছুটা বাড়তে পারে। সে জন্য সাধারণ মানুষকে মাস্ক পড়া বাধ্যতামুলক করেছে সরকার। কিন্তু সরকারের যথাযর্থ নির্দেশ না মানার কারণে আগের তুলনায় প্রতিদিনই সোনারগাঁয়ে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। তিনি আরো জানান, করোনা যাতে বাড়তে না পারে সেজন্য নিজ উদ্যোগে নিজেকে বাঁচাতে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে।