নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: আসন্ন ঈদুল ফেতরকে সামনে রেখে মার্কেট ও শপিংমলগুলোতে চলছে ঢিলেঢালা বেচাকেনা। করোনা মহামারির মধ্যে মার্কেট ও শপিংমলগুলো খুলে দেয়ার পর গতকাল রবিবার থেকে উপজেলার ব্যস্ততম এলাকা মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় মার্কেটগুলোতে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ছিল ছিল নারী ও শিশুদের কিছুটা ভীড়। তবে এ সময় যে পরিমান কাষ্টমার থাকার কথা ছিল সে পরিমান কষ্টমার দোকানে আসছেনা বলে জানিয়েছে দোকানীরা। তবে সরকারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খোলার কথা থাকলেও দোকান বা মার্কেটগুলোতে দেখা যায়নি সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন ব্যবস্থা।
করোনা ভাইরাসের ২য় ঢেউ থামাতে সরকারের পক্ষ থেকে সারা দেশে প্রথমে এক সপ্তাহ পরে ২য় সপ্তাহ পর্যন্ত কঠোর লক ডাউন ঘোষনা করা হয়। পরে ব্যবসায়ীদের চাপের মুখে কয়েকদিনের জন্য লক ডাউন শীতল করলে ফের করোনা বেড়ে যাওয়ায় কঠোর লক ডাউন ঘোষনা করে সরকার। তবে করোনার ঢেউ কিছুটা কমে আসার কারনে গত রবিবার থেকে মার্কেট ও শপিংমলগুলো খুলে দেয়ার সিদ্বান্ত নেয় সরকার। মার্কেট খুলে দেয়ার পর গতকাল সকাল থেকেই মার্কেটগুলোতে দেখা গেছে ক্রেতাদের ভীড়। বিভিন্ন বয়সের নারী ও শিশুরা ভীড় করছিল দোকানগুলোতে। তবে মহিলাদের তুলনায় পুরুষের সংখ্যা ছিল খুবই নগন্য। নারীরা তাদের শিশুদের নিয়ে দোকানে দোকানে ভীড় করছে নতুন জামা কাপড় কিনতে। তবে দোকানীরা জানান এ মুর্হুতে যে পরিমান ক্রেতার আগমনের কথা সে ভাবে আসছেনা। তারা জানান যাবাহন বন্ধ থাকার কারনে ক্রেতার সংখ্যা কম তবে গাড়ী চলাচল স্বাভাবিক হলে ক্রেতার পরিমান বাড়বে বলে আশা করছেন তারা। অন্য দিকে যানবাহন বন্ধ থাকার কারনে দোকানীরা নতুন মাল কিনে দোকানেও আনতে পড়ছেন বিলম্বনায়। লকডাউনের আগে যে পরিমান নতুন কাপড় তুলেছিলেন তার বেশীর ভাগই ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে বলে তারা জানান। নতুন করে পাইকারি মার্কেট থেকে নতুন জামা কাপড় দোকানে আনারও জো নেই। যানবাহন বন্ধ থাকার কারনে নতুন মালও কিনতে পারছেন না তারা। তবে পরিবহন চালু হলে তাদের এ সমস্ত সমস্যাগুলি থাকবেনা বলেও জানিয়েছেন তারা।