নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম:
আগামী কাল রোববার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে সোনারগাঁ থানা বিএনপির নেই কোন প্রস্তুতি। নেতা ও নেতৃত্বহীন ভাবে যে যার যার মতো সমাবেশে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বিএনপি নেতারা। তবে এজন্য সরকারী দমন নীতিকে দায়ি করেছেন তারা। তারা জানান, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ও খালেদা জিয়াকে জেলে আটকে রেখে বিএনপিকে নেতৃত্বশুন্য ও নির্বাচনের বাহিরে রাখতে চাচ্ছে সরকার। তারই অংশ হিসেবে সোনারগাঁ থানা বিএনপির নেতাদের নামে একাধিক মামলা দিয়ে ঘরছাড়া করে রেখেছে। আন্দোলন তো দুরের কথা সরকারের বিরুদ্ধে টু শব্দ করার সাহসও দেখাচ্ছেনা থানা বিএনপির নেতাকর্মীরা। এমতাবস্থায় সোনারগাঁয়ের নেতাকর্মীরা কোন পরিকল্পনা ছাড়া যে যার মতো করে বিক্ষিপ্ত ভাবে সোনারগাঁ থেকে ঢাকায় সমাবেশস্থলে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে।
সুত্র থেকে জানা গেছে, সোনারগাঁ থানা বিএনপির একাধিক নেতা মনোনয়নের জন্য কেন্দ্রে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন। আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মনোনয়ন প্রত্যাশী বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে সোনারগাঁয়ে গনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক এমপি রেজাউল করিম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম মান্নান, কেন্দ্রীয় বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল। মনোনয়ন প্রত্যাশী এ তিন নেতা গোপনে ও প্রকাশ্যে সোনারগাঁয়ের নেতাকর্মীকে নিয়ে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তবে, আগামীকালের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যোগদানের জন্য এসকল মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতাদের নেই কোন প্রস্তুতি। এসব নেতাদের মধ্যে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজাহারুল ইসলাম মান্নান চিকিৎসার জন্য বিদেশে অবস্থান করছেন। রেজাউল করিম মনোনয়ন প্রত্যাশী হলেও বিগত দিনে দলের কোন সভা সমাবেশে নেতাকর্মীদের নিয়ে যোগ দান করতে দেখা যায়নি। কালও তার কোন প্রস্তুতি নেই বলে জানিয়েছেন তার নেতাকর্মীরা। অপরদিকে, ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল তিনি সকাল বেলা সমাবেশ স্থলে পৌচ্ছে যাবেন বলে জানিয়েছেন। তবে তার নেতাকর্মীরা যে যার মতো সমাবেশ স্থলে পৌচ্ছেবেন বলে জানিয়েছেন। ফলে আগামী কাল রোববারের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ সোনারগাঁ থানা বিএনপির জন্য প্রাণহীন বিষাদময়।