নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকমঃ সোনারগাঁ উপজেলার সাদীপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিবে এরকম শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোচিং ফি বাবদ ১৫ থেকে ১৭ শত টাকা করে আদায়ের ঘোষণা দিলেন বিদ্যালয় কতৃপক্ষ। এ নিয়ে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরকারি নীতি অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধে নীতিমালা বৈধ ঘোষণা করে মহামান্য হাইকোর্ট ২০১২ সালে একটি রায় ঘোষণা করেছিলেন।
জানা গেছে, আসছে ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষায় সাদীপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রায় ১৯৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে যাচ্ছে। সরকারের মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী সকল বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোচিং বাণিজ্যর নামে অতিরিক্ত ফি আদায়ের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন।এ নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে উপজেলার সাদীপুর ইউনিয়নের সাদীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষকরা প্রতি ছাত্র- ছাত্রীর কাছ থেকে কোচিং ফি বাবদ ১৫ থেকে ১৭ শত টাকা করে আদায় করে যাচ্ছেন। এ নিয়ে পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে অসন্তোষ সহ চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
কলতাপাড়া এলাকার এক অভিভাবক জানান, সারা বছর বেতন ফিস দিয়ে পড়ালেখা চালিয়ে পরীক্ষার পূর্ব মূহুর্তে এ অতিরিক্ত ফি দেয়া আমাদের জন্য একটি কষ্টের বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। সরকারের লোকজন কি এসব দেখতে পারে না।
সাদীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, শিক্ষার্থীদের ভালো রেজাল্টের জন্য আমরা এ কোচিং করিয়ে আসছি, শিক্ষকরা খাটাখাটনি করে এর জন্য ১৫ শত টাকা ফি নির্ধারিত করে দেয়া হয়েছে। সরকারের কোন নিষেধাজ্ঞা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বিষয়ে সরকারের কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। তিনি আরো জানান, ফরম পুরনের পর তারা আমাদের শিক্ষার্থী না অভিভাবকের অনুরোধে তাদের কোচিং করাচ্ছি।
সোনারগাঁ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলাম জানান, শিক্ষাবোর্ড কতৃক ঘোষিত পরীক্ষার ফি বাদে কোনো রকম ফি আদায়ের কোন বিধান নেই।কোন বিদ্যালয় কতৃপক্ষ ইচ্ছে করলেই বিদ্যালয়ে কোনো প্রকার কোচিং বাণিজ্য করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতে পারবে না। এরুপ কোন প্রমান বা লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্হা নেয়া হবে।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রকিবুর রহমান খান জানান, সরকারের নিষিদ্ধ ঘোষিত কোচিং বাণিজ্যর বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তাৎক্ষনিকভাবে ব্যবস্হা নেয়া হবে।