নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে দুই দিনের মারামারির ঘটনায় কয়েক ধাপে হামলা, মারপিট, গুরুতর জখম এবং জখমী হয়ে ২ জনের মৃত্যু, বাড়ীঘর লুটপাট ও ভাংচুর সহ এলাকায় নৈরাজ্য ও ত্রাস সৃষ্টি করে মারামারি করার অভিযোগে উভয় পক্ষের পাল্টা-পাল্টি মামলার পর এবার পুলিশের এ.এস.আই নূরনবীর বিরুদ্ধে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শেফালী বেগম।
শুক্রবার রাতে মারামারির ঘটনায় গুরুতর আহত সাদেকের স্ত্রী শেফালী বলেন, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার নায়াগাঁও নিবাসী আলাউদ্দিনের পুত্র এ.এস.আই. ( নিরস্ত্র ) নূর নবী পুলিশের হিসাব বিভাগ, সেগুনবাগিচা, ঢাকায় কর্মরত হলেও প্রায়ই বিভিন্ন অযুহাতে বা বাড়িতে এসে ভূমি দস্যু বাবা ও বড় ভাইকে অবৈধ ভূমি দখল ও বালু ভরাট কাজে সাহায্য করতো।
অভিযোগে উল্লেখ করেন, চলতি মাসের ১৯.২০ তারিখে মারামারি ঘটনায় ইতিমধ্যে ২ জন লােক মৃত্যু বরন করেন এবং একমাত্র পুলিশের নাম ভাঙ্গীয়ে এ.এস.আই. নূরন্নবী, তার ভাই ইয়ানবি ও তার পিতা আলাউদ্দিন পুলিশি ক্ষমতাবলে এবং আরো ৪০/৫০ জন লােককে সুসংঘঠিত করে তাদের নেতৃত্বে হামলা, গুরুতর জখম, খুন, ভাংচুর, লুটপাট সহ এলাকায় শান্তি – শৃংখলার বিরাট অবনতি ঘটায়। ফলে বড় নয়াগাঁও, সােনারগাঁ নারায়ণগঞ্জে দুটি খুন সংঘঠিত হয় এবং অসংখ্য ভিকটিম ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি থাকে। বর্তমানে আসামী আলাউদ্দিন পুলিশের পিতা বলে এবং নুরন্নবী এ.এস.আই. বলে ৫/৭ জন ভিকটিম কে ঢাকা মেডিকেল ও পুঙ্গ হাসতালে (প্রায় মৃত) মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়া অবস্থায় রেখেও ভিকটিমদের ভয়ভীতি ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করিতেছেন এবং উল্টা পােষ্টারীং, ফেইস বুক সহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রিক মিডিয়া উল্টা বক্তব্য উপস্থাপন করিতেছেন। এ.এস.আই. নুরন্নবী এবং তাহার পিতা আলাউদ্দিন ছেলের প্রভাব খাটিয়ে জমি রেজিষ্টি না করিয়া, জাল দলিলের বলে জোর পূর্বক বালু ভরাট করিয়া সাধারন খেটে খাওয়া কৃষকদের জমি দখল করিতেছেন এবং এলাকায় অবৈধ বালু কাটা নিয়ন্ত্রনে রেখে স্থানীয় ভাবে সে ভূমি দস্যু হিসাবে খ্যত হয়েছে। উক্ত মারামারি, খুন, লুটপাট, জমিদখল ছাড়া বিভিন্ন বে-আইনী কর্মকান্ডের সাথে অত্র এ.এস.আই. নুরন্নবী সহায়তা তার পিতা আলাউলিন ও তার সাঙ্গ – পাঙ্গরা এখনও এলাকায় ত্রাশের রাজত্ব কায়েম করে আছেন। বিধায় বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখে প্রয়ােজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা একান্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
উক্ত ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ও স্বাভাবিক জীবনযাপনের সুযোগ চেয়ে আকুতি করে আবেদনে তিনি লেখেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মহােদয় সমীপে উপরােক্ত ব্যাপার গুলি সরেজমিনে পরিদর্শন করিয়া প্রয়ােজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের বিনয়ী আবেদন জানান।