নিউজ সোনারগাঁ টু্য়েন্টিফোর ডটকম: সোনারগাঁয়ে এক ইলেকট্রনিক ব্যবসায়ীর বাড়িতে প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। পূর্বশত্রুতার জের ধরে গত শুক্রবার রাতে জামপুর ইউনিয়নের পাকুণ্ডা এলাকায় ইলেকট্রনিক ব্যবসায়ীর আশরাফুল ভূঁইয়া মাকসুদের বাড়িতে এ হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। হামলাকারীরা প্রায় ৩৫ লাখ টাকার মালপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এর আগে গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করে চলে যাওয়ার পর ওই রাতে হামলাকারীরা তার বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে।
দ্বিতীয় দফায় গত শুক্রবার রাতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীর বাবা মো. আলাউদ্দিন ভূইয়া।
জানা যায়, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের পাকুন্ডা আমের ইলেকট্রনিক ব্যবসায়ী আশরাফুল ভূঁইয়া মাকসুদের সঙ্গে একই এলাকার ইব্রাহিম মিয়ার দীর্ঘদিন ধরে পূর্বশত্রুতার দ্বন্দ্ব চলছিল। এ জন্মের জের ধরে গত শুক্রবার রাতে ইব্রাহিমের নেতৃত্বে ইসমাইল, শাহীন, জহিরুল, সাবিক, হৃদয়সহ ২০- ২৫ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মাকসুদের বাড়িতে হামলা করে। এ সময় বাড়িতে ভাইরা কই শোরাকি বাইতে রাসনদ টাকা, আসবাবপত্র, দর্ণালংকার ও ইলেকট্রনিক পণী লুট করে নিয়ে যায়। এ ছাড়া একই এলাকায় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাই ম্যাক্স ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি ফ্যাক্টরিতে হামলা-ভাঙচুর করে।
ব্যবসায়ী মাকসুদের বাবা মো. আলাউদ্দিন ভূঁইয়া জানান, তার ছেলে দীর্ঘদিন ধরে চায়না থেকে ইলেকট্রনিক পণ্য আমদানির সঙ্গে জড়িত। সরকার পতনের সুযোগে ইব্রাহিমের নেতৃত্বে তার লোকজন বাড়িতে ও ফ্যাক্টরিতে হামলা ও ভাঙচুর করে। এর আগেও তারা হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করে। দ্বিতীয় দফায় শুক্রবার রাতে হামলা ও ভাঙচুর করে। এ ছাড়া ইব্রাহিম মিয়া স্থানীয় বিএনপির কার্যালয় ভেঙে মাকসুদের ওপর দোষ চাপাতে চাইছেন। বর্তমানে মাকসুদ চায়নায় ব্যবসায়িক কাজে অবস্থান করছে।
ব্যবসায়ীর চাচা মিলন ভূঁইয়া বলেন, হামলাকারীরা দুই দফায় বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে। মাকসুদকে না পেয়ে তার আমাদের পরিবারের লোকজনকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। অভিযুক্ত ইব্রাহিম মিয়ার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে তাকে ফোন রিসিভ করার জন্য ক্ষুদে বার্তা দেওয়া হয়, তাতেও সাড়া মেলেনি।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মহসিন বলেন, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা তাদের জানা নেই। এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।